খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭।। আজকের এইদিনে ২০১৩ সালের পিরোজপুরের কৃতী সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করার জন্য পুলিশ গুলি চালায়! সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গন শিক্ষা সম্পাদক, এই ছাত্রনেতা স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি ছিলেন পিরোজপুর ছাত্রদলের পরিচিত মুখ। তার বাবা ছিলেন স্থানীয় বি এন পির প্রতিষ্টাতা সভাপতি। তার স্বপ্ন পুরন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রদলে তার সবর উপস্থিত সকলের নজর কাড়ে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল সিরাজুল ইসলাম। জাতীয়তাবাদী বিএনপির ১৯ দফার উপরে আস্থারেখে আবারও ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়ে সিরাজুল ইসলাম। দিরেদিরে পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রদলের সভা, মিটং , মিছিলে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রনেতাদের নয়নের মনি হয়ে উঠে সিরাজুল ইসলাম।
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়,বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, মিছিলের অগ্রভাগেই ছিল সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
পুলিশ মিছিলে অতর্কিত ভাবে গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ এতে মিছিটি মুহুর্তেই পন্ড হয়েযায় আর মিছিলের সামনে থাকা সিরাজুল ইসলাম গুলিতে মাটিতে পড়ে যায়। পড়ে পুলিশ সিরাজের পেটে অস্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনেই গুলি বিদ্ব অবস্থায় পড়ে থাকে এই মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম । গুলিতে এই ছাত্রনেতার পেট থেকে নাড়িবুড়ি বেড়িয়ে আসে । গুলিবিদ্ব এই ছাত্রনেতাকে এক পথচারীর মহিলা রিক্সসা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়েযায়।
সংবাদ পেয়েই ছুটে যান সেখানে বিএনপি মহাসচিব সহ সিনিয়র অনেক নেতৃবৃন্দ, সিরাজের চিকিৎসার সর্বক্ষণিক খোজ খবর সহ সমস্ত দায়িত্ব নেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দীর্ঘ চিকিৎসা,লাইফ সাফোর্ট ও শরীরের অনেক অংশ কেটে ফেলা,পাঁচটি মারাত্মক অপারেশনের পর সুস্থ হন সিরাজুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম, সুস্থ হয়েই প্রথমে ছুটে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে, তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে আবার ফিরেন রাজপথে, তরুন সিরাজ সেই অসুস্থ শরীর নিয়েও আবার সেই আগের মত শ্লোগান ধরে রাজপথ কাপিয়েদেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রতিটি পোগ্রামে অশংগ্রহন করে তার সরব উপস্থিতির জানানদেয়।
বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-গন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের আলোচনায় বারবার আলোচিত হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নাম।
দেশনায়ক তারেক রহমান জুনিয়র ও নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রদল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন বলে শোনা যায়,তাই বর্তমান রাজনীতিক প্রক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল একটি বিশাল বলয়।
তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের দাবী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা অপেক্ষাকৃত তরুন সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে প্রতিনিধি ও অপেক্ষাকৃত তরুন তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাধারন সম্পাদক বা সুপার ফাইবে রাখার জোর দাবী জানিয়েছে।
আজ ২৫ শে জুলাই সিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪র্থ বর্ষ, এ বিষয় এই বিষয়ে খোলাবাজার ২৪ ডট কমের প্রতিবেদকে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শহীদ জিয়া ও তার পরিবারের প্রতি আমার ভালবাসা এবং আস্থার জায়গা থেকে রাজপথে অতীতে ছিলাম বর্তমানেও আছি ,ভবিষ্যতে ও থাকবো, প্রয়োজনে আবারও রক্তঝরাতে প্রস্তুত, দল যদি আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করে কোন দায়িত্ব অর্পন করে তবে সেটা নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করার চেষ্টা করবো”আর তৃর্নমূল নেতা কর্মীরাদের সাথে আমি চেস্টা করি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখতে,আর আমি মনে করি আমাকে মুল্যায়ন করা হলে তৃর্নমূল নেতা কর্মীরাও উজ্জীবিত হবে।