খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭: গত তিন দিনের একটানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ির খামারপাড়া এলাকায় আবারো সড়কের ২০ মিটার অংশ ভেঙ্গে গিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাঙ্গামাটিতে ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার একমাস পর ১৭ জুলাই রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সংযোগ পুনস্থাপন করে হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত তিন দিনের টানা বর্ষণে সোমবার সন্ধ্যায় সড়কে নতুন করে ভাঙ্গন হলে সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাঙ্গামাটিতে ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ৪টি সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে। এ সড়কের কুতুকছড়ি ইউনিয়নের কিচিং, খামারপাড়া, মোনতলা এলাকায় বড় বড় পাহাড় ভেঙ্গে মাটি ধসে পড়ে রাস্তার উপর। এছাড়া কিচিং ও মোনতলা এলাকায় সড়কের দুটি অংশ ধসে গিয়ে রাস্তার ১০০ মিটার অংশ নিশ্চিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে দীর্ঘ একমাস এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ দীর্ঘ এক মাস চেষ্টা চালিয়ে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের উপর থেকে মাটি সরিয়ে এবং ভেঙ্গে যাওয়া অংশে মাটি ভরাট করে ১৭ জুলাই হালকা যান চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুলে দেয়। কিন্ত এক সপ্তাহ যেতে না যেতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সড়কটি আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাঙ্গামাটির ও খাগড়াছড়িসহ নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও কুতুকছড়ি এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অর্ধেন্দু বিকাশ চাকমা জানান, ভারী বর্ষণ শুরু হলে রাস্তার ক্ষতির আশংকায় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক বিভাগ। সড়ক বিভাগের কর্মীরা বৃষ্টির পানির তোড়ে রাস্তার যাতে ক্ষতি না হয় সে প্রচেষ্টা যখন চালাচ্ছিলেন ঠিক সে সময়ে সোমবার সন্ধ্যায় প্রবল বর্ষণে সড়কের নতুন অংশ ধসে যায়।
অপরদিকে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মো: আবু মুছা জানান, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহসড়কে সাপছড়িতে রাস্তা ধসে যাওয়ার অংশে বেইলি ব্রিজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক পাহাড় ধস ও অতিবৃষ্টির কারণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।