খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুন। তাদের অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ বিশাল শ্রমশক্তিকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা দেশে ও বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাবে। তরুন জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশ তরন শ্রমশক্তির এ সুবিধা নিতে পারবে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশর্র্ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ’রিজিওনাল কনফারেন্স অন টিভিইটি ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং আইডিইবি যৌথভাবে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) বিষয়ক এ আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত তিন দশক ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক শ্রমশক্তি সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু যথাযথ দক্ষতার অভাবে তারা শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কাঙ্খিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের অনতম জনবহুল দেশ। এ জনসংখ্যার বড় অংশই তরুন। এদের সঠিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারলে, তারা দেশে ও বিদেশে কাজের সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, টিভিইটি বাংলাদেশে অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার। এর প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ শিক্ষায় গত আট বছরে ভর্তির হার শতকরা ১ ভাগ থেকে ১৪ ভাগে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৪২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ১ হাজার ১৫০ জনকে সেখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চীনে ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে টিভিইটি শিক্ষায় ভর্তির হার ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০টি টিএসসি নির্মানের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ৩৮৯টি টিএসসি নির্মান করা হবে। তিনি বলেন, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ভর্তির হার ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগে উন্নীত করতে দেশে আরো ২৩টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ০৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ০৮টি টিএসসি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি)-এর মহাপরিচালক ড. রামহরি লামিচানে ( জধসযধৎর খধসরপযযধহব), আইডিইবি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম এনামুল হক বক্তৃতা করেন । উল্লেখ্য, দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সিপিএসসি সদস্য রাষ্ট্রসমুহের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করছেন।