খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭: তিনটি ভয়ংকর বিষধর শঙ্খচূড়, অর্থাৎ কিং কোবরা সাপকে চিপসের কৌটায় ভরে পাঠানো হচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে যে ব্যক্তির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম
রডরিগো ফ্র্যাঙ্কো। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে চোরাপথে সাপ আমদানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাপগুলোর সঙ্গে তিনটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির অ্যালবিনো চীনা কচ্ছপও ছিল। গত মার্চ মাসে শুল্ক কর্মকর্তারা হংকং থেকে আসা ওই প্যাকেটটি পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে প্রায় দুই ফুট লম্বা সাপগুলো আবিষ্কার করা হয়।
নিরাপত্তার স্বার্থে সাপগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কচ্ছপগুলো ফ্যাঙ্কোর ক্যালিফোর্নিয়ার বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।
পুলিশ ফ্র্যাঙ্কোর বাসা তল্লাশি করে সেখানে শিশুদের শোবার ঘরে একটি পানির ট্যাঙ্কে জ্যান্ত একটি বিশেষ প্রজাতির কুমিরের বাচ্চা, এবং বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপও খুঁজে পান। সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন এগুলো সবই আমেরিকার আইনে সুরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী।
অভিযোগে বলা হয়েছে ফ্র্যাঙ্কো এশিয়ায় এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে হংকং থেকে আমেরিকায় কচ্ছপ চালান দেওয়ার ব্যাপারে টেক্সট বার্তা আদান-প্রদান করেছিলেন।
আমেরিকার শুল্ক কর্মকর্তারা মার্চ মাসে এই বিষাক্ত সাপগুলো আবিষ্কার করেন। তল্লাশির সময় পাওয়া এই টেক্সট বার্তাগুলোয় ফ্র্যাঙ্কো এ কথাও বলেছেন যে তিনি অতীতেও জ্যান্ত গোখরা প্রজাতির সাপ আনিয়েছেন এবং এর মধ্যে ৫টি সাপ তিনি ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত আত্মীয়দের দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এসব তথ্য আদালতের নথিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে আরও জানা যায়, তিনি আমেরিকার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছে একথাও স্বীকার করেছেন যে, এর আগে দুটি চালানে তিনি ২০টি বিষধর শঙ্খচূড় আমদানি করেছিলেন। কিন্তু আনার সময় ওই সবগুলো সাপ মারা গেছে। তবে যে কোবরাগুলো তিনি আত্মীয়দের দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সেগুলোই মৃত সাপগুলোর ওই চালানের অংশ ছিল কীনা তা স্পষ্ট নয়।
যে তিনটি বিষধর শঙ্খচূড় মার্চ মাসে শুল্ক কর্মকর্তারা বাজেয়াপ্ত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে দুটিকে এখন সান ডিয়াগোর চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। তৃতীয়টি অজানা কারণে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা লস এঞ্জলেস টাইমস পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দোষী প্রমাণিত হলে ফ্র্যাঙ্কোর বিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানান কর্মকর্তারা।