Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Barisal_University_Studentখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের মধ্যে ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক ক্যাম্পাসে এসে আন্দোলনরতদের ২২ দফা দাবী মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় এবার ভিসি অপসারনের একদফা দাবীতে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেছেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেষ হওয়ার পর ভিসি অপসারনের এক দফা দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে টানা ৫ দিনের আন্দোলন শেষ হয়েছে।

যদিও ঢাকায় অবস্থানরত ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক টেলিফোনে শিক্ষার্থীদের দাবীগুলোকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গত ৫ম দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও শিক্ষার্থীরা ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট করে। এ সময় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভিসি বিরোধী নানা শ্লোগান দেওয়া হয়। ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জনে পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে স্বীকার করে শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

তাদের দাবী, গত ৫দিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন করলেও ভিসি বরিশালে নেই। তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা এখন অভিভাবকহীন। তারা ভিসিকে অযোগ্য উল্লেখ করে তার অপসারন দাবী করেন।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা ইমরান হোসেন নাঈম বলেন, তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ২২ দফা দাবী তুলে ধরেছিলেন। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ভিসি তাদের দাবীর প্রতি কোন সন্মান দেখাননি। তাই এখন তারা ২২ দফা নয়, ভিসি অপসারনের এক দফা দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত রেছেন। যতদিন পর্যন্ত ভিসি’র অপসারন না হবে, ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে তিনি হুশিয়ারী দিয়েছেন।

সকল ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরন এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক বেশ কিছু দাবী সহ ২২ দফা দাবীতে গত রবিবার থেকে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৭ ও ১৯ জুলাই নগরীতে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সহ প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠন।

সম্প্রতি বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে ১৭ পদের বিপরীতে ৩৯জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরন না করার প্রতিবাদে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়।