
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের কেউ কেউও চেষ্টা করছেন সরাসরি লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কেউ কেউ তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন।
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দলীয় মানোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন রাজশাহীর মানোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। অনেকেই তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তারা তাদের যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাদের সাথে কথাবলে জানাগেছে, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরিতে বিএনপির চূড়ান্ত প্রায় এক হাজার প্রার্থীর তালিকা করেছে বলে এরই মধ্যে দল থেকে জানানো হয়েছে। প্রার্থীদের এই তালিকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন নিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এই তালিকাটি প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ।
রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্রমতে, জেলার ছয়টি আসনের জন্য ২০ জন নেতার নাম বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় এক হাজার জনের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সে তালিকায় কোন আসনে কার নাম রয়েছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও এবার বেশীর ভাগ আসনে নতুন মুখ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের আসার সম্ভাবনা বেশী বলে মনে করছেন দলটির ত্যাগী নেতারা। মাঠ পর্যায়ে যারা আলোচনায় এসেছেন তাদের মধ্যে যারা রয়েছেন।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে পরপর তিনবারের সাংসদ ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব জহুরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহিন।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে দুইবারের সাংসদ ও তিনবারের মেয়র মিজানার রহমান মিনু, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির প্রবীণ নেতা কবীর হোসেন ও নগর বিএনপির সভাপতি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি এডঃ রিজভী আহম্মেদ, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডঃ মতিউর রহমান মন্টু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, সহ-সভাপতি আবদুল গফুর এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও শহীদ জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দুইবারের সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রনেতা রাজশাহী সিটি কলেজের সাবেক জিএস গোলাম মোস্তফা মামুন, বাঘা উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে দুইবারের সাংসদ ও তিনবারের মেয়র মিজানার রহমান মিনু, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির প্রবীণ নেতা কবীর হোসেন ও নগর বিএনপির সভাপতি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি এডঃ রিজভী আহম্মেদ, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডঃ মতিউর রহমান মন্টু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, সহ-সভাপতি আবদুল গফুর এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও শহীদ জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দুইবারের সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রনেতা রাজশাহী সিটি কলেজের সাবেক জিএস গোলাম মোস্তফা মামুন, বাঘা উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক।