খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭: ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খুনের ঘটনার ২০ দিন পরে অভিযুক্ত আরেক আসামী যুবলীগ নেতা মারুফ আলী শান্তকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
অপরদিকে শান্ত’র পরিবারের দাবি শান্ত সোমবার সকাল ৭.৩০ মিনিটে নিজে ঠাকুরগাঁও থানায় আতœসমর্পন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মান্নান হত্যা খুনের আসামী শান্তকে সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামী শান্ত’র বোন বৃষ্টি দাবি করেন, শান্ত ভাইয়া আজ সকাল ৭ টায় আতœসমর্পনের আগে আমার ফোনে কয়েকবার কল দিছিলো। তখন আমি স্কুলে ছিলাম তাই ফোন রিসিভ করতে পারিনি। কিছুক্ষন পরে আমার স্বামী আমাকে জানায় ভাইয়া নাকি আতœসর্পন করেছে। পরে থানায় এসে শুনি পুলিশ নাকি ভাইয়াকে ভোর বেলা নীলফামারী জেলা থেকে গ্রেফতার করেছেন।
অভিযুক্ত আসামী শান্ত’র চাচা শ্বশুড় সাবুল আতœসমর্পনের দাবি করে বলেন, শান্ত প্রথমে বলে পুলিশ আমার বোন, তার স্বামীসহ ৩ জনকে আটক করেছেন। আমার জন্য তারা কেন শাস্থি পাবে। আমার তো বাইরে থেকে লাভ নেই, আমি পুলিশের কাছে আতœসমর্পন করবো। তখন আমি ও শান্ত বোদা থেকে রাণীগঞ্জ হয়ে অটো যোগে ঠাকুরগাঁও জর্জ কোর্টের বারান্দায় আসি। তখন বাজে ৭.৩১ মিনিট। আমি তখন জর্জ কোর্টে চত্বরে থাকলাম। আর শান্ত থানায় আতœসমর্পনের জন্য চলে গেলেন। পরে আমি ও তার পরিবারের সদস্য জানতে চাইলে পুলিশ বলেন, শান্তকে নাকি নীলফামারী জেলা থেকে ভোর বেলা গ্রেফতার করেছেন।
ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান জানান, শান্ত’র পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত ১১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় আব্দুল মান্নানকে ছুরিকাঘাত করেন সজীব দত্ত ও শান্ত। পরে মান্নানকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মান্নানের বড় ভাই আবু আলী বাদী হয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্ত ও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হত্যাকান্ডের দায়ে অভিযুক্ত আসামী সজিব দত্ত, তার ভাই পিন্টু দত্ত, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, অভিযুক্ত আসামী শান্ত’র ভাই রতনকে এর আগে গ্রেফতার করেছেন। বর্তমানে তারা ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে রয়েছেন।