Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭: মানুষের চোখ ক্যামেরার চাইতে অনেকগুণ উন্নত। কিন্তু এত উন্নত হওয়া সত্ত্বেও মানুষ সেই দৃশ্য পরবর্তী সময়ে ধারণ করে রাখতে পারে না। তবে অবাক করা তথ্য হলো, রব স্পেন্স নামের জনৈক পরিচালকের একটি চোখ নষ্ট ছিল। তিনি এক চোখ নিয়েই পরিচালনার কাজ চালিয়ে যেতেন। রব স্পেন্স যখন দেখলেন আসলে তিনি নিজেই বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনিতে অনুপ্রাণিত, সেহেতু এর প্রয়োগ নিজের দেহেই শুরু করলেন। তিনি তার নষ্ট চোখে একটি কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করলেন। ফিল বয়েন নামের একজন প্রথমে তার কৃত্রিম চোখের ডিজাইন করেন। এরপর কস্তা গ্রামাটিস নামের একজন বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী প্রকৌশলী বাকি কাজ এগিয়ে নেন, এই কৃত্রিম চোখকে ক্যামেরায় রূপ দিতে।

কিন্তু কৃত্রিম চোখের ক্যামেরায় ফুটেজ শুধু ধারণ করলেই হবে? ফুটেজ বাইরে এনে ব্যবহার তো করতে হবে। তাছাড়া রবের এই চোখ কিন্তু মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা সম্পূর্ণই কৃত্রিম। কিছু কৃত্রিম চোখ আছে যা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আসল চোখের ন্যায় কাজ করে। কিন্তু রব চাইছিলেন চোখ তার ক্যামেরা হয়েই কাজ করুক! এরপর দৃশ্যপটে আসেন তড়িত্ প্রকৌশলী মার্টিন লিং। বলা যায়, ইনিই আসল কাজটি করেন। ‘আর এফ ট্রান্সমিট’ প্রযুক্তির কল্যাণে এই চোখে ক্ষুদ্র ব্যাটারির সাহায্যে একে ওয়াইফাই বা তারহীনভাবে যুক্ত করতে সক্ষম হন।

যার মানে দাঁড়ালো, রব স্পেন্স চোখে যা দেখবেন তা শুধু ধারণই হবে না, সেই ফুটেজ সংগ্রহ করে ডকুমেন্টারি তৈরি করা যাবে। চোখই তার ভিডিও ক্যামেরা! এভাবেই একজন পরিচালক ক্যামেরাকে তার দেহের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে ফেলেন।