Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

bogrখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ০২ আগস্ট, ২০১৭: বগুড়ায় কলেজে ভর্তির নাম করে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিচারের কথা বলে মারপিট এবং নির্যাতনের পর ধর্ষিতা ও তার মা’র মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার মূল হোতা তুফান সরকার। আর তার এই বেপরোয়া হয়ে উঠার পেছনে ছিলেন তার ভাই শহর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার। ভাইয়ের হাত ধরে রাজনীতিতে নামা তুফান মূলত ভাইয়ের দাপটেই ইচ্ছা মতো যখন-তখন অপরাধ করে বেড়িয়েছেন। তুফানের অপকর্মের কারণে তাঁর অবৈধ কর্মকাণ্ডও সামনে আসার পর মঙ্গলবার যুবলীগ থেকে মতিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে বড় এই আব্দুল মতিন সরকার। তারই ছোট ভাই তুফান সরকার। ক্ষমতার বলয়ে তাদের পরিবার বলে টু শব্দটি করার জো নেই তাদের বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছেন তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মতিনের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ ৯টি মামলা বিচারাধীন। পুলিশ ও আদালতের নথিপত্রে কয়েক বছর ধরে ‘পলাতক’ মতিন কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান সেটা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। র‌্যারের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ী মতিনের একটি অস্ত্র মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত রয়েছে।

বগুড়া শহর এবং এর আশপাশে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখলের যেসব ঘটনা ঘটে তার সব কয়টিতে হাত জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারের। আর এভাবেই অবৈধ আরও অন্যের কাছ থেকে লুটেপুটে কোটিপতি বনে গেছেন মতিন।

অভিযোগ রয়েছে, বড় ভাইয়ের প্রশ্রয়েই দিনের পর তুফান সরকারও চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বগুড়া শহরের রিকশা থেকে প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে তুফান। এছাড়া তুফান ২০১৫ সালে শহরের চকসুত্রাপুর এলাকায় বাণিজ্যমেলার নামে প্রায় দেড় বছর জুয়া পরিচালনা করেন। অভিযোগ রয়েছে সেখান থেকেই কয়েক কোটি টাকা আয় হয় তার। চোরাই গাড়ি কেনাবেচার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অবৈধ আয়ের একটি অংশ ভাই মতিনের পকেটে যায় বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক ছাত্রীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে বাড়ি ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শহর শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বোন সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকি শালিসের নামে বাসায় নিয়ে তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এ ঘটনার সামনে আসার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই একে একে সামনে আসে তুফান ও তার ভাইয়ের অপকর্ম।