খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৭: তীব্র লোডশেডিং আর ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দিন-রাতের অধিকাংশ সময়ে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষা ও গবেষণা কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলায় এর সাথে যোগ হয়েছে আবাসিক হলসমূহে পানি সমস্যা। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে লোডশেডিং এর কারণে হলগুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৫-২০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে সকাল, দুপুর, রাতের প্রথম ও শেষ রাতের দিকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সব থেকে বেশি। আবাসিক হলগুলোতে কোনো কোনো দিন টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে লোডশেডিং।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন ধরে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনেক সময়েই ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ থাকছে না। সকাল ও রাতে একবার গেলে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার আগে আসে না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজে পানি না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের সাময়িক ভোগান্তি আমি বুঝতে পারছি। তবে যেহেতু এটা জাতীয় গ্রিডের সমস্যা তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। আমি রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগকে বলে রেখেছি যে, রাজশাহীতে বিদ্যুৎ দিলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি দিতে হবে। কেননা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার কাজ যেন বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ আসে পিডিবির কাছ থেকে। তাই এটা পিডিবির সমস্যা। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সমস্যা না। আমাদের কিছু করার নেই।
কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।