খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৭: শহীদ শেখ কামালের মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র শাখা’ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের প্রধান মাসুদুল হাসান ও সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি আব্দুস সোবহান গোলাপ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, “রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর মধ্য দিয়েই জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলেন, তার প্রমাণ দিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমানই যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘাতক ছিলেন, তাও দৃশ্যমান হয়েছে একাত্তরের কুখ্যাত ঘাতক গোলাম আজমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আনার মধ্য দিয়ে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রক্ষায় তিনি ইডডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করেছিলেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত জেনারেল এরশাদও একই ধারায় বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের পুনর্বাসিত করেছেন। রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। এরশাদও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের ফায়দা লুটেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির পুনর্বাসন ঘটিয়েছেন।”
বিশেষ অতিথি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী বলেন, “ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর থেকেই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল যে, বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলতে সক্ষম হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালিরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”
নিজাম চৌধুরী আরও বলেন, “এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা থেকে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত মোট ২১ বার চেষ্টা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ দেশবাসীর দোয়ায় শেখ হাসিনা বেঁচে রয়েছেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদিকা আইরিন পারভিন এবং বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ খন্দকার।
সভায় বঙ্গবন্ধুর ঘাতক হিসেবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আগ্মগোপন করে রয়েছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে এই দুই দেশের রাজনীতিকদের সাথে লবিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।