শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ক্ষমতাসীনরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। কিন্তু অবরুদ্ধ গণতন্ত্রে পীড়িত মানুষ বর্তমান ঘনতমসাবৃত এই দুঃসময়ে আলোর ক্ষীণ রেখা দেখতে পাচ্ছে। এ রায়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নির্বাচন, আইনের শাসন বাস্তবায়নসহ নানাদিক তুলে ধরা হয়েছে।’
‘রায়ে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদ অকার্যকর, অবাধ দুর্নীতি, মানবাধিকার হুমকির মুখে আর প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আজকাল গুটিকয়েক লোকের একচেটিয়া ব্যবহারের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা জোরালো করার এই আত্মঘাতী প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য সংসদ প্রতিষ্ঠা হতে পারে না।’
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, এ রায় প্রকাশের পর বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাটা জবরদস্তিমূলক ও বেআইনি। কিন্তু যদিও দেশে এখন আওয়ামী আইন চলছে। এ আইনে অবৈধ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত চর্চিত হিংসার স্ফুরণ ক্রমবর্ধমান মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। এ আইনে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিরোধী দলের প্রতি ক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী যেন সব সময় ক্রোধের আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন। বিরোধী মত এবং সরকার সমালোচকদের ওপর রাজদণ্ড নেমে আসে সব সময়।’
গত ৩ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ সাত বিচারপতির স্বাক্ষরের পর আজ মঙ্গলবার ৭৯৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।