বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা, পুলিশের হামলায় সিদ্দিকুরের দৃষ্টিশক্তি হারানো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের হাতাহাতির ঘটনাসহ দেশব্যাপী ‘অরাজকতার’ প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল নাগরিক ঐক্য।
মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে তুফানের মতো লোক ঢুকল কীভাবে? সরকার এসব ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেয়।’
সিদ্দিকুরের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে ছাত্ররা পরীক্ষা পেছানোর জন্য আন্দোলন করত। এখন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আন্দোলন করে। আর সেই আন্দোলনে হামলা করে পুলিশ। সিদ্দিকুরের চোখ গেল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ বলছে, তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত লাগে কেন? আমাকে আটকে রাখার সময় তো তদন্ত লাগেনি। প্রতিদিন মামলা ছাড়াই অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন নিয়ে মান্না বলেন, আদালত এই নির্বাচন বাতিল করেছে। সুষ্ঠু ও প্রকৃত নির্বাচন করতে হবে।
বর্তমান সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘এঁরা হাইকোর্ট মানে না। সুপ্রিম কোর্ট মানে না। যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিন।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর প্রতিবাদ করলে উল্টো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশের বর্তমান অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান প্রয়োজন বলে বক্তারা মন্তব্য করেছেন।