Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

134343radishখােলা বাজার২৪।।সোমবার ,০৭ আগস্ট, ২০১৭:  আপনি কি জানেন মুলা কতটা স্বাস্থ্যকর? সবজি জুস অলৌকিকভাবে উপকারী। যারা ডায়েটিং করেন তাদের বেশির ভাগই গাজর, বীটরুট এবং অন্যান্য সবজি জুস খায়। কিন্তু মুলাও যে জুস তৈরি করে খাবার জন্য একটি ভালো সবজি জানেন না অনেকেই। মুলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই শুষে নিতে পারে আমাদের দেহ। এক গ্লাস মুলার জুসে কী আছে? ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন এ. সি ও বি৬ হলো কয়েকটি পুষ্টি উপাদান যা মুলা সরবরাহ করে।

আপনার যদি শুধু মুলার জুস খেতে ভালো না লাগে তাহলে এর সঙ্গে গাজরের জুস বা কয়েক ফোটা লেবুর জুস মিশিয়ে নিন। এখানে এর উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো…

১. এটি একটি বিষ পরিষ্কারক
মুলার জুস আপনার দেহে জমে থাকা বিষ পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য উপাদান। এটি ব্লাডার, কিডনি, প্রোস্টেট এবং পরিপাকনালীতে জমে থাবা বিষ পরিষ্কারে বেশ কার্যকর। এটি দেহ থেকে ক্ষতিকর ট্রক্সিন এবং জীবাণু বের করে দেয়। মুলার জুস গলব্লাডার এবং লিভারকে পরিষ্কার করতেও খুব ভালো কাজ করে।

২. উপকারী এনজাইম আছে
এতে রয়েছে মাইরোসিনেজ, এস্টির‌্যাসেস, অ্যামাইলেস এবং ডায়াস্ট্যাস নামের এনজাইম যেগুলো ফাইব্রোমিল্যাগিয়ার মতো ছত্রাকজনিত রোগ নিরাময় করতে পারে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মুলরা জুস হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হলে মুলরা জুস আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে মুলার জুস খান।

৪. এটি প্রদাহরোধী
এতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান মুত্রনালীর প্রদাহ দূর করে। এবং কিছু কিডনি রোগের উপশম করে। প্রকৃতপক্ষে নিয়মিতভাবে মুলার জুস খেলে কিডনিতে পাথর হওয়াও প্রতিরোধ করে।

৫. শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে
আপনি অ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো কোনো শ্বাসনালীসংক্রান্ত রোগে ভুগছেন? তাহলে মুলার জুস আপনার উপকার করতে পারে ফুসফুসে থাকা শ্লেষ্মা বা কফ পরিষ্কার করে। এমনকি এটি বমিভাব, বমি এবং গলাদাহের চিকিৎসায়ও বেশ কার্যকর।

৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ
মুলার জুসে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন এবং ভিটামিন সি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকায়। গবেষকরা মুলার জুস কী করে মলাশয়ের ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, অন্ত্রের ক্যান্সার এবং কিডনি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করছেন।

৭. ত্বকের রোগ সারায়
এতে রয়েছে ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং সি। এসব উপাদান ব্রন, একজিমা এবং র‌্যাশের মতো ত্বকের সমস্যা দূর করে।