Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1457415_kalerkantho_picখােলা বাজার২৪।। বুধবার ,০৯ আগস্ট, ২০১৭: দীর্ঘ ২১ বছর পর হঠাৎ সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ। আর সেটা শুরু হয়েছে গত সোমবার জনপ্রিয় এই চিত্রনায়কের হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রুবি সুলতানার একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে। ওই ভিডিও থেকে আলোচনা শুরু হলেও এরপর একে একে অনেকবার ফেসবুক লাইভে এসেছেন রুবি। আজ সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে ফেসবুকে লাইভে আসেন তিনি। এরপর ফের ১১টা ২৮ মিনিটে লাইভে আসেন রুবি। তবে এবার তিনি খুব বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে লাইভের শেষ পর্যায়ে গিয়ে তিনি বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

এসময় তিনি সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার উপর ক্ষেপে যান। তাকে এবং তার পরিবারকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। লাইভে প্রথমেই তিনি বলেন, রাত এখন দেড়টা বাজে, আমি এখন ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি কী ঘুমাতে পারি।

খালি ফোনকল আসছে। একটা কথা আমি বুঝিনা মানুষ আমাকে নিয়ে কেন পড়ে আছে? তিনি আরো বলেন, খুন হইছে না আত্মহত্যা হইছে সেটারতো একটা তদন্ত হওয়া দরকার। আর সেই তদন্তের মাঝে সামিরা ছাড়া কে থাকবে? সেইতো মূল ছিল, সেইতো লাশকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছে। তাহলে আমি কেন কথা বলবো? ওরইতো কথা বলার দরকার। ওর বাপ কেন কথা বলে? ওর হাসবেন্ড কেন কথা বলে?

এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, যে জিনিসে মন দেওয়ার কথা সেটা হল সালমান শাহ মারা গেল কেমন করে। তা না আমার চরিত্র হরণে লেগে পড়েছে সবাই। … যে জানে সব কিছু সেই সামিরাকে কেন জিজ্ঞাস করা হয় না? ওর মারে কেন জিজ্ঞাস করা হয় না? ওর বাপরে কেন সামনে আনে?  ওকি প্রধানমন্ত্রী থেকে দুনিয়ার সব মানুষের থেকে বড় নাকি যে, পুলিশও ওকে ধরতে পারে না?

এবার চরম উত্তেজিত হয়ে রুবি বলেন, ওরে (সামিরা) এখন পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে ওরে কি আদর করে শাড়ি-গয়না পড়ে ও গিয়ে ওখানে ঢং করে বসবে নাইলে ঘোমটা দিয়ে বসবে? এমনিতেতো ছবি দেখলে মনে হয় নায়িকার ভাব। ওর ছবি দেখেন কিভাবে চলে? ওরে দেখলে কি মনে হয়? আর সালমান শাহ’র সব কিছু নিয়ে ও পেছন থেকে চাল চালায়, সামনে আসেনা কেন? অসভ্য মেয়ে, বছরের পর বছর আমার সাথে মিথ্যা কথা বলে গেছে, যা বুঝাইছে আমি তাই বুঝছি। ২১টা বছর ধরে আমাকে যা বুঝাইছে আমি তাই বুইঝা গেছি আর বলে গেছি আত্মহত্যা, আত্মহত্যা আত্মহত্যা।   এখন বলুক দেখি আমার ছেলেরে ও কী দিছিল কাপড়ের পোটলার মধ্যে যেটা ফেলাইতে দিছিল আমার ছাদের মধ্যে।

সামিরা তুই আমার ছেলেরেও ফাঁসাইতে চাইছিছ, আমারেও ফাঁসাইতে চাইছিছ। তুই কী ভাবছিছ যে তোর মা বাইচা থাকবে তুই বাইচা থাকবি আমি থাকতে? নো জীবনেও না। ফেসবুক যদি থাকে আমি যতক্ষণ পারি তোরে … করে ছাড়বো। তুই কতগুলি মিথ্যা কথা আমার সাথে বলছিস। সামিরা তুই আমার মুখ দিয়ে আজকে গালি বের করাইছিস। ….. তোর যদি সাহস থাকে সামনে আয়। তুইতো জীবনেও সামনে আসবি না। কারণ তুইতো ওরকম মেয়ে যারা সামনে আসেনা পেছন থেকে চাল চালায়।