
আসিফ নজরুল বলেন, খায়রুল হকের মতো এই রকম একজন ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে? প্রধান বিচারপতি কি তাকে শাস্তি দিতে পারেন? রাষ্ট্রের এই রকম সর্বোচ্চ ব্যক্তি যদি এমন করেন, তাহলে আপনি পুলিশকে কী বলবেন?
তিনি বলেন, মানুষ তো গুম হয়নি, আইনের শাসন গুম হয়েছে, গণতন্ত্রের গুম হয়েছে। রাষ্ট্রও গুম হওয়ার পথে। তথ্য প্রযুক্তির ৫৭ ধারার আইন করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কালো আইন। আইনের বৈষম্যমূলক ব্যবহার হচ্ছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য, নির্যাতনের জন্য, মুখ বন্ধের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা আইনের অপপ্রয়োগ করছেন।
সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমরা সবাই হতাশায় ভুগছি। একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান করা যেতে পারে। সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে কে কি কিছু করা যায় না? আমি কিংবা আসিফ নজরুল তো আদালত অবমাননা করিনি। অবমাননা করেছেন খায়রুল হক।