Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
1503395727খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭: মাত্র ৫ মাস আগে নায়করাজ রাজ্জাক আমাদের কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিকদের তার বাসায় ডাকলেন। আমরা ১৫ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় দিলেন। বারবার স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘তোমাদের সঙ্গে হয়তো এটাই আমার শেষ সাক্ষাত্।’ এরপর বলছিলেন আহমেদ জামান চৌধুরীর কথা। ‘শোনো তখনকার বিনোদন সাংবাদিকতা ছিল অন্যরকম। আজাচৌয়ের সঙ্গে আমার যেন নানা বিষয়ে যেমন পরামর্শ হয়েছে, তেমনি তার সঙ্গে আমার তর্কও হয়েছে। সেই তর্কগুলো হতো সেয়ানে সেয়ানে। কারণ বিনোদন সাংবাদিকরাই তো আমাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছেন।’ কথায় কথায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষঙ্গে রাজ্জাক কবরীর পর্দা রসায়নের কথাও বলছিলেন। রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের ভিতরে অদ্ভুত এক বন্ধুত্ব ছিল। যা ছিল একেবারেই পারিবারিক। আমার স্ত্রীর সঙ্গেও তার নিয়মিত কথা হতো। কিন্তু চলচ্চিত্র জুটি নিয়ে কবরীর সঙ্গে আমার যে গল্পগুলো, সত্য-মিথ্যা যাই লিখুক না কেন, আমরা কেউই তা ভাঙতে দিতাম না। কারণ সবার আগে আমরা ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করতাম।

 

নিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সহকর্মীদের সহযোগিতা করেছেন নায়করাজ। নায়করাজ ইত্তেফাককে বলেছিলেন, ‘আমার রোমান্টিক ইমেজের পাশাপাশি যখন নিজেকে বদলাতে থাকলাম, তখন এই আমিই ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানাকে নিয়ে বসলাম। আমাদের ভিতরে পরস্পরের বিরোধ রাখলে তো নিজেদেরই ক্ষতি। এখনও যখন নিজেদের ভেতরে নানা তর্ক বিতর্কের কথা শুনি কস্ট লাগে। ছোট্ট এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে গোছানো দেখে যেতে পারলাম না।’

 

এদেশের অন্যতম কিংবদন্তি নায়ক যিনি তার পরিবারকে এই চলচ্চিত্রের ভিতরেই রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে নায়ক রাজ বলেন, ‘আমার কাছে কোনো বাধাধরা নিয়ম ছিল না। সম্রাট-বাপ্পা ওরা হয়তো বাবাকে দেখে শিখেছে। আমি বলেছি, তোরা পারবি এত কষ্টের জীবন বেছে নিতে। ওদের সিনেমা-নাটকের প্রতি আগ্রহটা আমায় আরও উত্সাহিত করেছে। এ কারণেই ওদের আর বাধা দিইনি।’ বারবার নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো বলতে গিয়ে চোখ ভিজিয়েছিলেন। বলছিলেন, ‘জীবনে টাকাপয়সা না, সম্মানটার দিকে চেয়ে রয়েছিলাম। এদেশের অগণিত মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, তাতে আর কোনো আক্ষেপ নেই আমার। শুধু চলচ্চিত্রের পরিবেশ ভালো হোক। এদেশের তরুণরাই চলচ্চিত্রের প্লট বদলে দেবে এ আমার বিশ্বাস।’