
নিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সহকর্মীদের সহযোগিতা করেছেন নায়করাজ। নায়করাজ ইত্তেফাককে বলেছিলেন, ‘আমার রোমান্টিক ইমেজের পাশাপাশি যখন নিজেকে বদলাতে থাকলাম, তখন এই আমিই ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানাকে নিয়ে বসলাম। আমাদের ভিতরে পরস্পরের বিরোধ রাখলে তো নিজেদেরই ক্ষতি। এখনও যখন নিজেদের ভেতরে নানা তর্ক বিতর্কের কথা শুনি কস্ট লাগে। ছোট্ট এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে গোছানো দেখে যেতে পারলাম না।’
এদেশের অন্যতম কিংবদন্তি নায়ক যিনি তার পরিবারকে এই চলচ্চিত্রের ভিতরেই রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে নায়ক রাজ বলেন, ‘আমার কাছে কোনো বাধাধরা নিয়ম ছিল না। সম্রাট-বাপ্পা ওরা হয়তো বাবাকে দেখে শিখেছে। আমি বলেছি, তোরা পারবি এত কষ্টের জীবন বেছে নিতে। ওদের সিনেমা-নাটকের প্রতি আগ্রহটা আমায় আরও উত্সাহিত করেছে। এ কারণেই ওদের আর বাধা দিইনি।’ বারবার নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো বলতে গিয়ে চোখ ভিজিয়েছিলেন। বলছিলেন, ‘জীবনে টাকাপয়সা না, সম্মানটার দিকে চেয়ে রয়েছিলাম। এদেশের অগণিত মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, তাতে আর কোনো আক্ষেপ নেই আমার। শুধু চলচ্চিত্রের পরিবেশ ভালো হোক। এদেশের তরুণরাই চলচ্চিত্রের প্লট বদলে দেবে এ আমার বিশ্বাস।’