খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭: রবিবার শুরু হওয়া দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশের শক্তিশালী স্পিন বোলিং সম্পর্কে তার দল পুরোপুরি সচেতন বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
সর্বশেষ ২০১১ সালের পর উপমহাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সেবার স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করা অসিরা এখানকার মন্থর ও টার্নিং উইকেটে খেলার জন্য কঠোর অনুশীলন করছে।
গত এক দশকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি স্টিভ স্মিথের দল। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে ফতুল্লায় একমাত্র অনুশীলন ম্যাচটি ভেসে যাওয়ার তাদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে।
সর্বশেষ ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দল ২-০ ব্যববধানে সিরিজ জেতার পর রবিবার প্রথমবারের মত প্রথম টেস্টে মিরপুরে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
স্বাগতিক দলের মন্থর বোলিংয়ের বিপক্ষে এলবিডব্লুর তাহ থেকে রেহাই পেতে সানের পায়ে প্যাড ছাড়া অভিনব উপায়ে নেটে অনুশীলন করেছে সফরকারীরা।
অনুশীলন ম্যাচের ঘাটতি থাকলেও চলতি সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বাস কৌশলই গত তিনটির মধ্যে দুই টেস্টে জয় পাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার সামনের প্যাড অরক্ষিত থাকলে পেছনের পা ও ব্যাট বের হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আমি মনে করছি নিজেকে সুরক্ষিত রেখে ব্যাটিং করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ’
ম্যাক্সওয়েল আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বোলাররা স্টাম্প টু স্টাম্প ভাল বোলিং করে এবং আপনাকে চাপে রাখে।
সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ’অস্ট্রেলিয়া দলের অতি সাম্প্রতি উপমহাদেশ সফর শেষ হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। ২০১৬ সালে তারা শ্রীলংকায় ৩-০ ব্যবধানে এবং এ বছরের প্রথম দিকে ভারত সফরে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্ট হারলে অথবা ড্র হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) র্যাংকিংয়ের চার নম্বরে থাকা অসিদের অবনমন হবে।
স্পিন শক্তি
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর আসন্ন সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
স্বাগতিক দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান এবং তাইজুল ইসলাম গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
তারকা অলরাউন্ডার সাকিবের বিশ্বাস তার দল স্বাগতিক হওয়ায় সুবিধা পাবে এবং স্পিন শক্তি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলা যাবে।
সফরকারীরাও ঢাকাতে দলের দুই স্পিনার এ্যাস্টন আগার ও নাথান লিঁওর ওপর যথেষ্ট নির্ভর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করছি তাদের চেয়ে আমাদের স্পিন আক্রমণ ভাল। আমি বলছি না সব কন্ডিশনে। তবে আমাদের কন্ডিশনে অবশ্যই তাদের তুলনায় আমরা ভালো। ’
তিনি আরো বলেন, ‘টেস্ট সিরিজ জিততে হলে আমাদেরকে সব বিভাগেই ভাল করতে হবে। তাদের শক্তি যাই থাকুক না কেন অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। ’
মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটিতে পেস আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড সিরিজ মিস করা বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
দল
বাংলাদেশ : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোমিনুল হক, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান, শফিউল ইসলাম, তাউজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া : স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, এ্যাস্টন আগার, হিলটন কার্টরাউট, প্যাট কামিন্স, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, ম্যাথু ওয়েড, জস হ্যাজেলউড, উসমান খাজা, নাথান লিঁও, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যান রেনশ, মিচেল সোয়েপসন ও জ্যাকসন বার্ড। বাসস।
রবিবার শুরু হওয়া দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশের শক্তিশালী স্পিন বোলিং সম্পর্কে তার দল পুরোপুরি সচেতন বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
সর্বশেষ ২০১১ সালের পর উপমহাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সেবার স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করা অসিরা এখানকার মন্থর ও টার্নিং উইকেটে খেলার জন্য কঠোর অনুশীলন করছে।
গত এক দশকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি স্টিভ স্মিথের দল। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে ফতুল্লায় একমাত্র অনুশীলন ম্যাচটি ভেসে যাওয়ার তাদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে।
সর্বশেষ ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দল ২-০ ব্যববধানে সিরিজ জেতার পর রবিবার প্রথমবারের মত প্রথম টেস্টে মিরপুরে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
স্বাগতিক দলের মন্থর বোলিংয়ের বিপক্ষে এলবিডব্লুর তাহ থেকে রেহাই পেতে সানের পায়ে প্যাড ছাড়া অভিনব উপায়ে নেটে অনুশীলন করেছে সফরকারীরা।
অনুশীলন ম্যাচের ঘাটতি থাকলেও চলতি সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বাস কৌশলই গত তিনটির মধ্যে দুই টেস্টে জয় পাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার সামনের প্যাড অরক্ষিত থাকলে পেছনের পা ও ব্যাট বের হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আমি মনে করছি নিজেকে সুরক্ষিত রেখে ব্যাটিং করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ’
ম্যাক্সওয়েল আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের বোলাররা স্টাম্প টু স্টাম্প ভাল বোলিং করে এবং আপনাকে চাপে রাখে।
সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ’অস্ট্রেলিয়া দলের অতি সাম্প্রতি উপমহাদেশ সফর শেষ হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। ২০১৬ সালে তারা শ্রীলংকায় ৩-০ ব্যবধানে এবং এ বছরের প্রথম দিকে ভারত সফরে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্ট হারলে অথবা ড্র হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) র্যাংকিংয়ের চার নম্বরে থাকা অসিদের অবনমন হবে।
স্পিন শক্তি
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর আসন্ন সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
স্বাগতিক দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান এবং তাইজুল ইসলাম গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
তারকা অলরাউন্ডার সাকিবের বিশ্বাস তার দল স্বাগতিক হওয়ায় সুবিধা পাবে এবং স্পিন শক্তি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলা যাবে।
সফরকারীরাও ঢাকাতে দলের দুই স্পিনার এ্যাস্টন আগার ও নাথান লিঁওর ওপর যথেষ্ট নির্ভর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করছি তাদের চেয়ে আমাদের স্পিন আক্রমণ ভাল। আমি বলছি না সব কন্ডিশনে। তবে আমাদের কন্ডিশনে অবশ্যই তাদের তুলনায় আমরা ভালো। ’
তিনি আরো বলেন, ‘টেস্ট সিরিজ জিততে হলে আমাদেরকে সব বিভাগেই ভাল করতে হবে। তাদের শক্তি যাই থাকুক না কেন অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। ’
মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটিতে পেস আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড সিরিজ মিস করা বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
দল
বাংলাদেশ : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোমিনুল হক, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান, শফিউল ইসলাম, তাউজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া : স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, এ্যাস্টন আগার, হিলটন কার্টরাউট, প্যাট কামিন্স, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, ম্যাথু ওয়েড, জস হ্যাজেলউড, উসমান খাজা, নাথান লিঁও, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যান রেনশ, মিচেল সোয়েপসন ও জ্যাকসন বার্ড। বাসস।