Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

trg (1)খােলা বাজার২৪।।বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়াকুঠি ইউনিয়নের মাদরাসা পাড়া গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে যুবক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ার কুঠি ইউনিয়নের মাদরাসা পাড়া গ্রামের মৃত- ইছাহাক আলীর ছেলে আরিফ মিয়া (১৮) একই গ্রামে মৃত-ছাবেদ আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৭) গং এর সাথে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় নিজ বাড়ীতে মজিদুল ইসলামের স্ত্রী বুলবুলি বেগম অবস্থান করছিল। ওই সময় আফজাল হোসেন ঘর বাড়ী মেরামত করার সময় আরিফ মিয়ার টিনের চালা ভেঙ্গে দেয় তাতে আরিফ প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেন এর ছেলে সাহেব আলী (২৫) আফজাল হোসেনের ছেলে শামীম মিয়া (২০) আকতারুল হোসেন (১৫) মৃত- ছাবেদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) সহ ছাবিয়া বেগম (৪৮) ছামসুনাহার (৩২) ছালেহ বেওয়া (৫৫) এক সাথে সবাই মিলে পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি করে। এতে করে আরিফ মিয়া (১৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র (ছুরি) দিয়ে সাহেব আলী সজরে পেটে আঘাত করে সাথে সাথে ছুরি আরিফের পেটে ঢুকে যায়। এ সময় আরিফ এর আত্ম চিৎকারে ফুফাতো ভাই লিটন মিয়া বখরাদু (২৮) ও প্রতিবেশী জমশেদ আলী (২৫) ছুটে আসেন। আরিফ কে উদ্ধার করতে গিয়ে লিটন এর হাতের আংগুল কেটে যায় ।ওই ঘটনায় জমশেদ প্রতিবাদ করলে তার গায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করে।পরে আরিফ কে এলাকা বাসী উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করে।
একই গ্রামের প্রত্যক্ষ দর্শি মৃত ছদ্দি মিয়ার ছেলে মন্টু মিয়া বলেন আমি আফজালের বাড়িতে ঘর বাড়ি মেরা মতের কাজ করছিলাম। তখন সময় ঠিক দুপুর বার টা হবে।সত্য কথা বলতে আরিফের কোন দোষ নাই।আফজাল ও তার লোকই আরিফের পেটে ছুরি মারছে।ওই ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি আমি জানি আরিফ ও তার পরিবার অসহায়।এ ব্যপারে আমিও সঠিক বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।