জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন এমপি প্রার্থী একজোট হয়েছেন। তারা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে সভা-সমাবেশ, প্রচার-প্রচারণা সহ বিভিন্নভাবে ভোটার কাছে গিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন। এমপি প্রার্থীরা হলেন, জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইসহাকপুর গ্রামের কৃতী সন্তান জননেতা এমএ কাহার, সৈয়দপুর গ্রামের কৃতী সন্তান মেজর অব. সৈয়দ আলী আশফাক শামী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নাদির আহমদ ও ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন। তাদের দাবি একটাই আগামী নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে আমরা ৪ জনের মধ্যে যাকেই দলীয় হাই কমান্ড মনোনয়ন দেবেন তার বিজয় নিশ্চিতে সবাই মিলে কাজ করবো। এ দাবি শুধু আমাদের নয়, পুরো জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি। আমরা ৪ জনের বাহিরে আর কাউকে মনোনয়ন দিলে ধানের শীষের ভরাডুবি হবে।
১৩ অক্টোবর সোমবার বেলা ২ টার পর থেকে এমপি প্রার্থী এমএ কাহারের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে দলীয় নেতাকর্মীরা স্থানীয় পৌর পয়েন্টে গিয়ে পথ সভায় মিলিত হন। এখানে আগ থেকেই এমপি প্রার্থী মেজর অব. সৈয়দ আলী আশফাক শামীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় খন্ডখন্ড মিছিল সহকারে এমএ কাহার পক্ষের নেতাকর্মীরা গিয়ে আরো জড়ো হন। পরে এমপি প্রার্থী নাদির আহমদ আহমদের নেতৃত্বে ও এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তাদের বলয়ের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এসে সভায় মিলিত হন। অবশেষে সমবেত নেতাকর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে ৪ প্রার্থীর নেতৃত্বে বিশাল গণমমিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এর আগে পৌর পয়েন্টে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিএনপি নেতা আবিবুল বারী আয়হানের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা এমএ কয়েছের সঞ্চালনায় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, এমপি প্রার্থী এমএ কাহার, এমপি প্রার্থী নাদির আহমদ, এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন ও এমপি প্রার্থী মেজর অব. সৈয়দ আলী আশফাক শামী। সভায় এমপি প্রার্থী মেজর অব. সৈয়দ আলী আশফাক শামীর পিতা বিএনপি নেতা লে. কর্ণেল অব. সৈয়দ আলী আহমদ সহ জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতার অংশ গ্রহণে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে বাজার সহ আশপাশ এলাকা।
পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুন্যের অহঙ্কার তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাট-বাজারের দোকানে দোকানে গিয়ে ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন ৪ প্রার্থী। যা সাধারণ মানুষকে চমকে দেয়। একই দলের একসঙ্গে ৪ প্রার্থীর গণসংযোগ বা লিফলেট বিতরণকে ভোটার সাধারণ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়েছেন। তাদের প্রচারণা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে আমজনতার মনে। তাই বিএনপির হাই কমান্ডের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, তারা ৪ প্রার্থীর মধ্যে যাকেই দল মনোনয়ন দেবে আমরা তাকে সাদরে গ্রহণ করবো। কারণ সবাই এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। #