খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭: এবার নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বানাতে ‘হিন্দুদের গণকবরের’ কল্প কাহিনী আবিষ্কার করেছে বার্মিজ বাহিনী। অথচ এ গণকবরের কথা আন্তর্জাতিক মহলের কেউ জানে না। এমন কী তাদের এই দাবি যাচাই-বাছাইয়েও কাউকে রাখাইনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মায়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, তাদের ভাষায় রোহিঙ্গা মুসলমান জঙ্গিরা এইসব হিন্দুদেরকে হত্যা করেছে।
এলাকাটিতে চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবার কারণে সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাখাইনে গত ২৫ অগাস্ট থেকে সহিংসতা শুরু হবার পর এখন পর্যন্ত চার লাখ ত্রিশ হাজারের বেশী রোহিঙ্গা মুসলমান পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি থেকে যানা যাচ্ছে, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবর খুঁড়ে মোট আটাশটি মৃতদেহ বের করে এনেছে, এদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বেশীরভাগই মহিলা।
আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, নিজেদের অপরাধ আড়াল করতেই রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বানাতে ‘হিন্দুদের গণকবরের’ এই কাল্পনিক কাহিনী আবিষ্কার করেছে বার্মিজ বাহিনী।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বিবিসিকে বলেছেন, নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার কারণে রোহিঙ্গারা আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। রাখাইনে চলমান সহিংসতাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মায়ানমারের সরকার।