Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Pic 25-09-2017খােলা বাজার২৪।।সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭: গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ভারতীয়’র কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম আমিনুর রহমানকে গুম করেছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নোবেল পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন অথচ তার রাষ্ট্রে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ গুম খুনের শিকার হচ্ছেন। অস্থির দেশের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে নোবেল বিজয়ের স্বপ্ন দেখেন আমি জানি না।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমানের সন্ধানের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে ,বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবন যাপন শুধু দেখলেই হবে না। এদের সমাধান করতে হবে। তাদেরকে আবার তাদের দেশে কিভাবে মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রপ্রধানকে নিতে হবে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা সহ সকল সেবা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি অবিলম্বে এম আমিনুর রহমানসহ গুম হওয়া সবাইকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, কল্যাণ পার্টি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. নুরুল কবির ভুইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, ইসলামিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাহমুদুল হাসান, এনডিপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শামসুল আলম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিনাফ’র সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি এস. আল মামুন, আলোর মিছিলের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভূইয়া রিপন প্রমুখ।

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, গত ২৭ আগস্ট ২০১৭ দিবাগত রাতে নয়াপল্টনস্থ কল্যাণ পার্টি কার্যালয় থেকে বাসায় যাওয়ার পথে কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম.এম. আমিনুর রহমান নিখোঁজ হন। অধ্যাবদি তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে পুত্রের নিখোঁজ সংবাদে বৃদ্ধ মাতা গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন মৃত্যুর পথযাত্রী।

আমার জানামতে তার সাথে ব্যক্তিগত কারো শত্রুতা ছিল না। তার ধ্যান জ্ঞান রাজনীতির বাহিরে কিছু ছিল না। তাহলে কি বিরোধী দলের রাজনীতি করা কারণেই অল্প বয়সে তাকে গুমের শিকার হতে হালো?তিনি আগামী ৪ অক্টোবর কল্যাণ পার্টির উদ্যোগে আমিনুরের সন্ধানের দাবীতে বৃহত্তর কর্মসূচীতে সকলকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশকে গুম, খুনের রাজত্বে পরিনত করেছে। বর্তমান সরকারের গুম, খুন, অপহরণের দু:শাসন থেকে জাতি মুক্তি চায়। সরকার দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ভুলুন্ঠিত করে ক্ষমতা আকড়ে রয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া দেশে এখন বর্বরযুগীয় হিংস্রতা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, জনপদে জনপদে শঙ্কিত মানুষ যেকোনো মূহুর্তে প্রিয়জন হারানোর দু:সংবাদ পেতে উৎকন্ঠিত হয়ে আছে। আতঙ্ক ও ভয়ে পরিব্যাপ্ত রাষ্ট্র সমাজ। দেশে মনে হয় উনবিংশ শতাব্দির ঠগিদের আধিপত্য বিস্তারলাভ করেছে। গত ২৭ আগষ্ট রাতে নয়াপল্টন এলাকা থেকে সাভারস্থ আমিন বাজারের নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে কল্যান পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, দেশে এখন বর্বরযুগীয় হিংস্রতা বিরাজ করছে। আতঙ্ক ও ভয়ে পরিব্যাপ্ত রাষ্ট্র সমাজ। দেশে মনে হয় উনবিংশ শতাব্দির ঠগিদের আধিপত্য বিস্তারলাভ করেছে। জনসমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ছাত্র, যুবক, চাকুরীজীবি, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য মানুষ। এরা কোথায় অদৃশ্য হচ্ছে কেউ জানে না। জনপদে জনপদে শঙ্কিত মানুষ যেকোনো মূহুর্তে প্রিয়জন হারানোর দু:সংবাদ পেতে উৎকন্ঠিত হয়ে আছে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, গুম-খুনের রাজনীতির মধ্যদিয়েই বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা টেকসই করতে চায়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে না দিলে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট বরাবর বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি সহ বৃহত্তর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।