খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭: ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত রাখার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তবে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়ে রুল না দেওয়ায় তা অনুষ্ঠানে বাধা নেই বলে দাবি করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শুধু বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে আদালত একটি রুল জারি করেছেন। এজিএম নিয়ে কোনো আদেশ দেননি। সুতরাং ২ অক্টোবরের (সোমবার) এজিএম হতে কোনো বাধা নেই।
আদেশের সময় বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ও সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
পরে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাইকোর্ট বিসিবির কমিটি নিয়ে শুধু রুল জারি করেছেন। তবে তাদের (বিসিবির) এজিএম হতে বাধা নেই।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
গত ২৬ জুলাই বিসিবির গঠনতন্ত্র–সংক্রান্ত এক মামলায় আপিল বিভাগের দেওয়া রায় নিজেদের পক্ষে দাবি করে আগামী ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গঠিত বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কেন কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ চেয়েও আবেদন করা হয়। রিটে বিবাদী করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনএসসি ও বিসিবির সভাপতিসহ সাতজনকে।
এজিএম-ইজিএমসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠান স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। কিন্তু আইনি নোটিশ অনুসারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট করেন তিনি।