Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

a800de0544e1e10dc356e6df32b09cd1-59cb40ebbe66d (1)খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭: উইকেট, গতি আর বাউন্স। কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কানের কাছে শব্দ তিনটি খুব বাজছে। কোচিং স্টাফ, অগ্রজ ক্রিকেটার, সংবাদমাধ্যম; সবাই মুশফিক-তামিমদের বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে মরকেল-রাবাদারা গতির ঝড় তুলবেন। সাফল্য পেতে হলে সেই ঝড় সামলাতে হবে। ইমরুল কায়েসরা কতটা প্রস্তুত?

বেনোনিতে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলার পর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হয়তো একটু অবাকই হয়েছিলেন। কোথায় সেই বাউন্স? উইকেট ছিল স্লো, বল নিচু হয়েছে। অনেকটাই বাংলাদেশের উইকেটের মতো! তবে পচেফস্ট্রুমে অনুশীলনে নেমে ইমরুলরা হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন, তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। প্র্যাকটিস উইকেটে ব্যাটসম্যানদের দিকে ফণা তুলেছে বাউন্স। একটি গুড লেংথের শর্ট বলে তো আঙুলে ব্যথাও পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

তা এই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর কী বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। গতকালের অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইমরুল। সাফল্য পেতে সতীর্থদের কানে একটা মন্ত্র পুঁতে দিতে চেয়েছেন টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান, ‘আমরা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সামনের দিকে একটু বেশি খেলতে চাই। কিন্তু এখানে ব্যাক অব লেংথে বল থাকে। তাই পেছনের পায়ে খেলাটা বেশি দরকার। সবাই এই অনুশীলনই করছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে বল স্টাম্পের চেয়ে উঁচুতে আসে। তাই কাট আর পুল খেললে সহজে রান করা সম্ভব বলে মনে করেন ইমরুল। সতীর্থদের এই দুটি শট খেলায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নেই ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডার। অনেকেই বলছেন, এ দুজন না থাকায় বাংলাদেশের সুবিধাই হবে। কিন্তু ইমরুল তাঁদের সঙ্গে একমত নন, ‘এদের বদলে যারা দলে এসেছে, তারাও নিশ্চয় ভালো খেলোয়াড়। না হলে তো আর দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে জায়গা পাবে না। (মরনে) মরকেল আছে, (কাগিসো) রাবাদা আছে। রাবাদা টেস্টে অনেক ভালো করছে। ও বিশ্বমানের বোলার।’

গত দু-তিন বছরে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করেছে। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের (একমাত্র টেস্ট) বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। নিউজিল্যান্ড সফরে দুটি টেস্টই হারলেও ব্যাটিংটা ভালোই হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিরুদ্ধ কন্ডিশনে কেমন করবে বাংলাদেশ? সফরটা যে বাংলাদেশের জন্য সত্যি খুব চ্যালেঞ্জিং, সেটা ইমরুলও মেনে নিয়েছেন, ‘শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্বের যেকোনো দলের জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকা খুব কঠিন জায়গা।’ তবে ফাফ ডু প্লেসির দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন বলে আশাবাদী ইমরুল, ‘চ্যালেঞ্জ না জানাতে পারার কিছু নেই। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। ব্যাটসম্যানরা দুই বছর ধরে দেশে আর দেশের বাইরে ভালো খেলছে। এ রকম খেলতে পারলে এখানেও ভালো কিছু করতে পারব।’

পচেফস্ট্রুমে আগামীকাল প্রথম টেস্ট শুরু। বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা গেছে প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে। সেখানকার জল-হাওয়ার সঙ্গে কিছুটা হলেও মানিয়ে নেওয়া গেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা সবাই মোটামুটি রান পেয়েছেন। সব মিলিয়ে দলে আত্মবিশ্বাসের পারদটা উঁচুতেই আছে বলে মনে করেন ইমরুল, ‘প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। এখানে আমরা এক সপ্তাহ আগে এসেছি। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সে সবার আত্মবিশ্বাসই বেড়েছে।’