খােলা বাজার২৪।।শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযানে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসার ঘটনায় দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি এমন দাবি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেন, মিয়ানমার সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ‘সংখ্যালঘুদের নির্মূল করতে নিয়মিত বর্বর প্রচারণা’ চালাচ্ছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ২০০৯ সালের পর মিয়ানমারের বিষয়ে প্রথম কোনো উন্মুক্ত বৈঠকের আয়োজন করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘এই পরিষদে সদালাপ ও কূটনৈতিক কথাবার্তার সময় শেষ হয়ে গেছে।’
হ্যালির জাতিসংঘে বক্তব্য দেওয়ার দিন কক্সবাজারের ইনানী সৈকতের কাছে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন ৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, ওই নৌকায় ১৩০ জনের মতো লোক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নৌকা থেকে জীবিত অবস্থায় ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের আগের নাম বার্মা ব্যবহারে করে নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘আমাদের এখন অবশ্যই বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে, যারা নিজেদের নাগরিকদের নির্যাতন ও তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোয় লিপ্ত।’
হ্যালির এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা জানান দিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা উচ্চারণ করেননি এই দূত।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে পাঁচ লাখ এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা। এখনো তাদের আসা অব্যাহত রয়েছে।