খােলা বাজার২৪।।শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭: কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
শুক্রবার দলের নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব ছাড়াই শেষ হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্ক। এ ছাড়া গতকালও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে কিনা সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হওয়ার প্রধান কারণ কূটনৈতিক ব্যর্থতা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা বিশ্ব সোচ্চার হলেও বর্তমান সরকারের ভূমিকা নতজানু। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা-নির্যাতন চালানো হচ্ছে- এমনকি বাংলাদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও জাতিসংঘসহ প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশগুলোকে পাশে নিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
কারণ একটিই- জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তাদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, শুরু থেকে বাংলাদেশে আশ্রয়ের সন্ধানে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিয়ে মৃত্যুর গুহায় ঠেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মতোই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আচরণ করেছে তারা। এমনকি মিয়ানমার বাহিনীর মতো কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই এই নিরীহ জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ তাদের পাশে দাঁড়ায়।
রিজভী বলেন, বর্তমান সংকটেও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হলেও বিএনপির আহ্বানে সাড়া না দিয়ে একপক্ষ নীতি অবলম্বন করছে সরকার। অথচ সরকার এই জাতীয় সংকটের কোনো সুরাহা করতে পারছে না।
‘শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, বিশ্ব মানবতার বাতিঘর’ -ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তার এমন মন্তব্যে গোটাজাতি লজ্জা পেয়েছে। সারা দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করে অশান্তির বীজ বপন করে শান্তির দূত হওয়া যায় কিনা সে প্রশ্ন চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে।