Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34খােলা বাজার২৪।।শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭: প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চাপা দেওয়ার সংকেত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা হতাশায় কাটলেও দ্বিতীয় দিনটাও ভালো কাটেনি টাইগারদের। প্রোটিয়াদের মাত্র তিনটি উইকেটই নিতে সক্ষম হন বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ১২৮ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা দিন এলগার আউট হয়েছেন ১৯৯ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯৯ রানে আউট হলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

ইতিবাচক সেই লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলেন মুশফিক-মুস্তাফিজরা। তবে প্রথম সেশনে উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। উইকেট পেতে অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত। লাঞ্চের পর শফিউলের বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। প্রথম দিন আর ৬৮ রানে অপরাজিত থাকা এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান করেছেন ১৩৭ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এলগারের সঙ্গে ২১৫ রান যোগ করেন আমলা। আজ দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১০৮তম টেস্টে আমলার এটি ২৭তম শতক।

এরপর দলীয় ৪৪৫ রানে ব্যক্তিগত ১৯৯ রানে মুস্তাফিজের বলে মুমিনুলকে ক্যাচ দেন এলগার। এই ম্যাচে টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়লেন ডিন এলগার। এ বছরের শুরুতে ডুনেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪০ রানই এতদিন এলগারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল।

বাংলাদেশের বোলারদের কষ্টটা দীর্ঘায়িত করেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তিন উইকেটে ৪৯৬ যখন দলের রান, তখন ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। টিম্বা বাভুমা ৩১ ও ডু প্লেসিস অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।

এর আগে প্রথম দিন সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পচেফস্ট্রুমে নখদর্পহীন টাইগার বোলিং লাইনআপ খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম দিনটায় বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়েছেন ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম ও হাশিম আমলা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে এক উইকেটে ২৯৮ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

প্রথম দিনে বাংলাদেশের একমাত্র সফলতা বলতে মেহেদী হাসান মিরাজ রানআউট করেন মার্করামকে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের সাফল্য নেই বিন্দুমাত্র। এলগারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন এই ম্যাচে অভিষিক্ত মার্করাম। ৯৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। এলগার-মার্করাম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৯৬ রান যোগ করেন। বলা বাহুল্য, পেসবান্ধব উইকেটে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি মুস্তাফিজ-শফিউল-মিরাজরা।