খােলা বাজার২৪।।শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭: বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করে এই ধরাতে শান্তি আনয়ন করা কী সম্ভব? বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কি না, তা পরের কথা। আগের কথা হলো, অনেকেই বলেন শান্তির মা নাকি মারা গেছে। কথাটা যতবারই শুনি ততবারই মাথা চুলকানি শুরু হয়ে যায়। মনের মাঝে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে। বিষয়টা নিয়ে কথা হচ্ছিল আমার এক বন্ধুর সাথে। এ কথা শুনে সে কপাল কুঁচকাল। চোখ দু’টি অতি ছোট ছোট করল। তার হাতে তখনো অর্ধকাপ গরম চা। সে কাপের চাটুকু মাটিতে নিক্ষেপ করল। আমি তার হাবভাব দেখেই বুঝতে পারলাম, সে খুব রেগে গেছে। কিন্তু কেন সে হঠাৎ করেই রেগে গেল, সেই কারণটাই তখনো আঁচ করতে পারছিলাম না। সে বাম হাতে মুখ মুছে বলল, ‘শান্তির মা মারা গেছেন কথাটা ডাহা মিথ্যা। সে এখনো বেঁচে আছে এবং শান্তির দেশে (!) মানুষের শান্তির জন্য দিব্যি পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’
সে এবার প্রশ্ন ছুড়ে দিলো। ‘কেন, শুনিস নি ওই শান্তির মা দেশে শান্তি আনয়নের জন্য লাখ লাখ লোককে দেশান্তরিত করছে?’
আমি বললাম, ‘তুই কার কথা বলতে চাচ্ছিস, খোলাশা করে বল তো?’
সে বলল, ‘কেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শান্তির মা কথা বলছি।’
এবার আমি রেগে গেলাম। আমার রাগ আঁচ করতে পেরে সে আমাকে হাত ধরে বসাল। বলল, ‘বোস, আরেকটা কথা বলি।’
আমি বললাম, ‘কী বলবে বলো, আমি আর এখানে বসতে পারব না।’
সে বলল, ‘আমি একটা দ্বন্দ্বে আছি। সত্যি করে বল তো, অং সান সু চি পুরুষ না মহিলা?’
এমন একটা প্রশ্ন শুনে রাগের মধ্যেও হাসি পেল। আমি বললাম, ‘মানে?’
সে ইতস্তত করে বলল, ‘সু চি’র চেহেরাও আমি কোনো দিন দেখিনি।’
আমি বললাম, ‘তোর এই প্রশ্নের উত্তর নোবেল কমিটিই ভালো দিতে পারবে। তারা কোন সু চিকে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে, পুরুষ সু চি, না মহিলা সু চিকে। তা ছাড়া তাদের কাছে সু চির পূর্র্ণাঙ্গ বায়োডাটা আছে, যাতে লেখা আছে সু চি পুরুষ না মহিলা। তবে আমি জানি সু চি মহিলা।’
সে এবার ভেঙচি কেটে বলল, ‘আমার মনে হয় কি জানিস? আমার মনে হয়, ওই সু চি নামের ডাইনিটা পুরুষও না মহিলাও না। সে প্রকৃতপক্ষে একটা হিজড়া।’
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোর এমন মনে হওয়ার কারণ কী?’
সে বলল, ‘তুই যেমন শিরোনাম দিলে শ তে শান্তি, স তে সু চি। আমিও তেমনি বলব, হ তে হিজড়া, হ তে হিংস্র। মানে হিজড়া সু চি বর্তমানে হিংস্র হয়ে উঠেছে। লাখ লাখ লোক দেশান্তরিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলছে।’