রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়ার ভূমিকায় ওবায়দুল কাদের মর্মাহত হলেও তিনি ভারতের ভূমিকায় কেন মর্মাহত হননি? মিয়ানমার যখন কসাইয়ের মতো মানুষ (রোহিঙ্গা) কাটছে, ভারত তখন বলেছে যে, আমরা মিয়ানমারের পাশে আছি। আর বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিল এখন ভারত বলছে আমরা (ভারত) বাংলাদেশের পাশে আছি।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আমাদের এখন রোহিঙ্গা ইস্যু নয়, মিয়ানমার ইস্যু। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিবে না কিন্তু আমরা রোহিঙ্গাদের আবারও ফেরত পাঠাবো আজ না হয় কালকে।’
আজ রোববার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে মির্জা আব্বাস এসব বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গা পাঠাতে শুরু করল বাংলাদেশের ভিতরে, তখন বাংলাদেশ সরকার যদি কঠিন অবস্থান নিত যে, একজন রোহিঙ্গাও ঢুকতে পারবে না, একজন রোহিঙ্গাকেও হত্যা করতে পারবে না, তাহলে হয়তো বার্মিজরা এত কিছু করতে সাহস পেত না। আপনারা হয়তো জানেন না ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, মিয়ানমার আপস করতে বাধ্য হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ যে ভাষায় কথা বলছে, আমাদের সরকার কেন সে ভাষায় কথা বলতে পারছে না? ১৬ কোটি মানুষ দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের পাশে, তাহলে সরকারের কিসের ভয়?’
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যদি রোহিঙ্গাদের সাহায্য না করত একজন রোহিঙ্গাও বেঁচে থাকত না। আমি প্রথমেই যখন ত্রাণ নিয়ে গেছি, আওয়ামী সরকার আমাদের ২২ ট্রাক ত্রাণ আটকে দিয়েছিল। তাই বলে কি আমরা ত্রাণ দেইনি, আজো দিচ্ছি। আমাদের ত্রাণ দেখা যাবে না, আমরা খাবার দিচ্ছি, টিউবওয়েল দিয়েছি, ল্যাট্রিন দিয়েছি, আমাদের টিউবওয়েল উদ্বোধন করলেন ওবায়দুল কাদের কিন্তু তিনি বলেননি যে, এটা বিএনপি স্থাপন করেছে। আমরা শুরু করি আর আওয়ামী লীগ তা অনুকরণ করে।’
দোয়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ওলামা দলের হাফেজ মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।