Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

dor49472390
খােলা বাজার২৪।।বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০১৭: জামাল উদ্দিন স্বপন কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের আলহাজ্ব সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষিতার মামা হাফেজুল ইসলাম থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে প্রভাবশালী মহল।
স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের দুপাচ্চর গ্রামের পনের বছর বয়সী এক সুন্দরী মেয়ে আলহাজ্ব সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে স্কুলের বিরতির সময় প্রেমিক বটতলী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(৩৫) সিএনজি বেবি টেক্সিযোগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন রাত দশটায় সাদ্দাম হোসেন স্কুলছাত্রীকে বটতলী বাজারের সামছুল হক সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে সাদ্দাম হোসেনের কয়েকজন বন্ধুও যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। রাত দেড়টায় গণধর্ষণের সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে নাইটগার্ড এসে তাদেরকে ঘেরাও করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার আবদুল জলিল তাৎক্ষনিক মন্নারা গ্রামের আ’লীগ নেতা জিল্লুর রহমানকে জানায়। জিল্লুর রহমান ধর্ষিতা ছাত্রীর মামা হাফেজুল ইসলাম ও তাজুল ইসলামকে খবরটি জানায়। ঘটনাটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবে না এমন কথায় খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছাত্রীকে দুই মামার জিম্মায় দেয়।
আলহাজ্ব সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাঈন উদ্দিন জানান, ওইদিন ছাত্রীটি বিদ্যালয়ের বিরতির সময় চলে যায়। পরদিন সকাল বেলায় লোকমুখে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা শুনেছি। ছাত্রীকে তার মামা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
ধর্ষিতা ছাত্রীর মামা হাফেজুল ইসলাম মন্নারা বাজারের ইদ্রিছ সুপার মার্কেটের স্বত্তাধিকারী। তার মার্কেটের একটি কক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় জলিল মেম্বারসহ একাধিক লোকের নেতৃত্বে গাঁজার আসর বসার অভিযোগ উঠেছে।
মন্নারা বাজার পরিচালনা কমিটির আলী আক্কাছ কোম্পানী জানান, যেহেতু হাফেজুল ইসলাম ও জলিল মেম্বারের সাথে মধুর সম্পর্ক রয়েছে। তাহলে মেয়েটির ইজ্জতও নষ্ট করলো আবার খালি স্ট্যাম্প নেয়ার কারণ কি।