খােলা বাজার২৪।।সোমবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৭: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলো রাষ্ট্রের উপকারে আসার বদলে উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সংস্থা বছরের পর বছর লোকসান দিতে দিতে শ্বেতহস্তীর রূপ নিয়েছে। এরা ক্রমাগত ব্যাংক ঋণ নিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু ঋণ পরিশোধের নামটি নেই। এদের অপরিশোধিত ও খেলাপি ঋণ জমতে জমতে এখন পাহাড়সমান।
চলতি বছরের আগস্ট শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৭৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। জুলাই মাসের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ২১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও খেলাপি বেড়েছে ৭৭ কোটি ৬ লাখ টাকা।
জুলাই মাসে রাষ্ট্রীয় পাঁচটি ব্যাংকে এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার ১০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণ ১৯৯ কোটির ৫৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সরকারি সংস্থাসমূহের খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান বাড়িয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পণ্যমান ও সেবার পর্যায়ে উন্নীত করা গেলে এবং এর পাশাপাশি সীমাহীন দুর্নীতি ও অপচয় দূর করা গেলে এসব প্রতিষ্ঠানকেও লাভজনক করা সম্ভব। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসা পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগস্ট শেষে সোনালী ব্যাংকের দেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫,২৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। জনতা ব্যাংকের ১৯০১ কোটি ১৭ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ২২৫ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৭৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ২১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে ২২৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের ২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংকের ২০ লাখ টাকা।
এসব ব্যাংকের মধ্যে চারটি ব্যাংক খেলাপি ঋণ কিছুটা কমিয়ে আনলেও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জনতা ব্যাংকের। জুলাই মাসের তুলনায় ব্যাংকটির খেলাপি