Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭: বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করে যেভাবে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন, তেমনি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং শাসন ক্ষমতায় আজীবন চাই। এটি আষাঁঢ়ে প্রত্যাশা নয়। এখনই উপযুক্ত সময়। শুধু নির্বাচনে জয়ী হয়ে নয়, বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্থায়ীভাবে ক্ষমতা লাভের সুযোগ এসেছে। মায়ানমারের সামরিক জান্তা আরাকানের ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রত্যাখ্যান করে রোহিঙ্গাদের প্রতি জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এটি আর মায়ানমারের নিজস্ব বিষয় নয়, বাংলাদেশের জন্য কঠিন বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ রীতিমতো সার্বভৌমত্ব সংকটে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ববিবেক জাগ্রত হয়েছে। মায়ানমারের ঘাতকদের ধিক্কার জানাচ্ছে। বিশ্ববাসীর এ প্রতিবাদ বাংলাদেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। বিশ্ববিবেকের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানস্বরূপ আরাকান বিজয়ের এখনই উপযুক্ত সময়। মাননীয় নেত্রীকে চাই, আগামী নির্বাচন ইস্যু বাদ দিয়ে আরাকান দখলে দেশবাসীকে সংগঠিত করবেন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের শাসনকর্তা হয়ে আজীবন আসীন থাকবেন।
শুধুমাত্র বিশ্ব মানবতার স্বার্থেই আরাকান দখল করতে হবে। এজন্য দুটি বিষয় অতি জরুরী। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এবং দেশের ষোল কোটি নাগরিককে সুসংগঠিত করা। বাহ্য দৃষ্টিতে কতিপয় পরাশক্তির ধৃষ্টতা পরিলক্ষিত হলেও বিশ্বমানবতার সামনে তাদের স্থায়ীত্ব একেবারেই ক্ষীণ। তাই অশুভ পরাশক্তি জুজুর ভয়ে ভীত না হয়ে বিশ্ববিবেকের সমর্থন নিয়ে দ্রæত আরাকান অভিযান করা উচিত।
আরাকান অভিযানে প্রথমত আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঢেলে সাজাতে হবে। গতবছর ০১ জুলাই, ২০১৬ তারিখে গুলশান হলি আর্টিজান হামলায় ব্যর্থ সেনাভিযানের জন্যই বিদেশি নাগরিকগণ হত্যার শিকার হন। সেদিন মাত্র ৬/৭ জঙ্গি গ্রেনেড মেরে ২ পুলিশ হত্যা ও ৪০ পুলিশকে আহত করে। তারপর জঙ্গিরা হোটেলে প্রবেশ করে আশ্চর্য্যজনকভাবে ১৫ বন্দিকে নিরাপদে ফেরত দেয়। তখন জঙ্গিদেরকে সারারাত অবকাশ দেয়া হয়। তারা সারারাত ২০ বন্দীকে নির্মমভাবে হত্যা করে হোটেলের রক্তাক্ত মেঝেতে নিরবে কাটায়। পরদিন সকালে অপারেশন থান্ডারবোল্ট শুরু হলে জঙ্গিরা নিহত হয়। জঙ্গিদেরকে সারারাত অবকাশ দেয়া ও দেরিতে অপারেশন পরিচালনায় বিশ্ববাসী অবাক হয়। সম্প্রতি আরো বহু ঘটনায় দেখা যায়, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মাঝে বন্দুকযুদ্ধে শুধুমাত্র পুলিশের কাছে আটক ব্যক্তিরাই নিহত হয়। এতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ভিত্তিহীন জঙ্গি-সন্ত্রাস নিকৃষ্টভাবে প্রচার হয়েছে। তাইতো মায়ানমারের মতো স্বল্প ক্ষমতার দেশও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। তারা রোহিঙ্গাদেরকে সংখ্যালঘু মুসলিম না বলে বাঙ্গালি জঙ্গী-সন্ত্রাসী নামে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ভারতও সেদেশের বাঙ্গালি ও রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার চেষ্টা করছে। এজন্য এখনই প্রতিরক্ষা বাহিনীর শক্তিমত্তা দেখাতে হবে। সফলভাবে আরাকান দখল করে দেশের আয়তন বৃদ্ধি ও দৃঢ় সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
একইভাবে আরাকান বিজয়ে বাংলাদেশের ষোলকোটি নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সকল নাগরিকের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে যেভাবে সম্পৃক্ত করেছিলেন, এখনও তাই করতে হবে। আরাকান জয়ের পর ষোলকোটি নাগরিকের মাঝে বৈষম্য করা যাবেনা। প্রতিটি নাগরিককে বীরযোদ্ধা ঘোষণা করতে হবে। যেমনটি ১৯৭১ এর পরে করা হয়নি। তখন ৩০লাখ বাঙ্গালি প্রাণ বিসর্জন করলেও তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ফলে আজও বাংলাদেশে লাখো শহীদের বংশ ও পরিবারের কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র দুই লাখ ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকাভুক্তদের সন্তান-সন্ততিদেরকে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসুবিধা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশিদেরকেই ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশে মারাত্মক বৈষম্য, অনৈক্য ও ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়েছে। আরাকান বিজয়ের পর এসকল বৈষম্য বাতিলের দৃঢ় ঘোষণা দিতে হবে। তবেই বাংলাদেশের ষোলকোটি নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হবে। লাখ লাখ প্রত্যাখ্যাত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আরাকান জয় করবে।
অতএব আমরা মাননীয় নেত্রীকে চাই, তিনি দেশের সার্বভৌমত্ত¡ রক্ষায় অযথা সময় নষ্ট না করে আরাকান দখলে মনোনিবেশ করবেন। বাংলাদেশে আর কোনো জঙ্গি-যুদ্ধাপরাধী না খুঁজে, সকল নাগরিককে আরাকান অভিযানে সুসংগঠিত করবেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা আরাকান দখলে জীবন-পণ লড়াই করবো। মাননীয় নেত্রীকে একক, অদ্বিতীয় ও স্থায়ী শাসকরূপে গ্রহণ করবো। তিনি বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি করে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের কর্ণধাররূপে আজীবন থাকবেন, এটাই চাই।

শিক্ষানবিস আইনজীবী, ঢাকা।