খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটি মোটেও ভাল কাটেনি সৌম্য সরকারের। সফরজুড়েই ফর্মের সাথে লড়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এক টেস্ট ও এক ওয়ানডে খেলে সংগ্রহ করেছিলেন মোট ২০ রান। কিন্তু বৃহস্পতিবার ব্লমফন্টেইনে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে খেলেছেন ৪৭ রানের এক ঝলমলে ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে তার এমন ইনিংসে জয়ের স্বপ্ন দেখার সাহস পেয়েছিল টাইগাররা। তিনি আউট হওয়ার পর স্বপ্নপূরণের কাজটি করতে পারেননি অন্য কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। তাই মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার আক্ষেপে পুড়ছেন সৌম্য।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খুব একটা ভাল পারফরম করতে পারেন নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মিডল অর্ডারে খন্ড খন্ড ভাবে মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান পারফরম করলেও একসাথে দল হিসেবে খেলা বলতে যা বোঝায় তা দেখা যায় নি চলতি সিরিজে। টি-টুয়েন্টি দেখা গেল একই হাল। সৌম্য-ইমরুল কায়েসের ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৩১ বলে সৌম্যর ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস জয়ের পথই দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে সৌম্য সাজঘরে ফেরার পর খেই হারায় তারা। ১০৫ রানের মধ্যে পড়ে যায় পাঁচ উইকেট। পুরো ইনিংসে মিডল অর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র ৪৮ রান। এদের একজনের একটি বড় ইনিংসের কথাই বলেছেন সৌম্য, ‘৩ থেকে ৬ নাম্বারে নেমে যদি কেউ একটা বড় ইনিংস খেলত তাহলে আমরা লাভবান হতাম। শেষ ১০ ওভারে ক্রিজে আমাদের একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকত। তাহলে আমাদের জন্য বিষয়টা সহজ হত। ওরা প্রায় ২০০ রান করেছে। আমরাও কিন্তু ১৭৫ রান করেছি। মাঝখানের ওভারগুলোয় একজন ব্যাটসম্যান ভাল করলে আমরা সহজেই ম্যাচটি জিততে পারতাম। তবে এই পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস যোগাবে যে আমরাও ২০০ রান করতে পারি।’
প্রথম টি-টুয়েন্টির দলে ছিলেন চারজন পেসার ও দুইজন স্পিনার (সাকিব সহ)। একজন ব্যাটসম্যান কম থাকা যে কোন প্রভাবক হিসেবে কাজ করেনি সে কথাই বলেছেন ২৪ বছর বয়সী সৌম্য, ‘নেতিবাচক কথা বলতে চাইলে অনেক কিছুই বলতে পারবেন। যদি বোলাররা ভাল করত এবং আমরা একজন বোলার কম খেলাতাম তাহলে বলতেন কেন একজন কম খেলানো হলো। এখন ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারে নি তাই বলছেন একজন বেশি ব্যাটসম্যান খেলানো উচিত ছিল। এই তর্কের কোন শেষ নেই; আপনারা ভাবছেন আমাদের একজন ব্যাটসম্যান কম ছিল। কিন্তু আমাদের অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছে এটাই শ্রেয়তর।’
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পুরো ম্যাচে ডট বল ছিল ৪৫টি। এ বিষয়ে সৌম্য বলেছেন, ‘ডট বল টি-টুয়েন্টির জন্য বড় সমস্যা। পরের ম্যাচে আমাদের এটা কমাতে হবে। এমনকি যখন আমরা ফিল্ডিং বা বোলিং করেছি তখন আমাদের উচিত ছিল আরও রান আটকানোর বিশেষত যে নো-বলটা চার হয়ে গেল। তাহলে ওদের ২০ রান কম হত। ১৭০ রান তাড়া করতে হলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত।’
তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রোববার, পচেফস্ট্রমে।