খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার,৩১ অক্টোবর ২০১৭: জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা চাননি, ঘোষণার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম না থাকলে পাকিস্তানের পক্ষ নিতেন বলে মনে করেন এ প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
এসসময় এক সাংবাদিক জানতে চান, পাকিস্তান হাইকমিশন এক ভিডিও বার্তায় বলছে-জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি।
পরে বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান নামে একটা লোক আছে, সেটা আমি তোফায়েল আহমেদও জানতাম না। ৬৯ সালে যখন গণঅভ্যুত্থান করি তখন জিয়াউর রহমানের নামও ছিল না। বঙ্গবন্ধু যখন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তখনও জানতাম না। ঐদিন জিয়াউর রহমান যদি চট্টগ্রাম না থেকে পাকিস্তান বা ঢাকা থাকতো তাহলে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করতেন, কারণ তিনি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন না।
এর বড় প্রমান তিনি সংবিধানকে তছনছ করেছেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্রের ৪টি মূলনীতিতে তছনছ করেছেন। আমরা অসাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেছি। তিনি ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছেন। সুতারাং তিনি স্বাধীনতা চাননি, ঘোষণার প্রশ্নই আসে না।
৭ মার্চ ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। একটা ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। এটাই ছিল ৭ মার্চের ভাষণের মূল চালিকা শক্তি। ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতি প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন শ্রেষ্ঠ ভাষণ। এটা একদিন হবে-এটা আমাদের বিশ্বাস ছিল।
উল্লেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এক ঘোষণায় একথা জানান।
image-id-667254
‘শো-ডাউন করতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছিলেন খালেদা’
image-id-667252
রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট ২১ ডিসেম্বর
image-id-667249
সুপ্রিম কোর্টের চিঠির বৈধতা নিয়ে রুলের রায় যেকোনো দিন
image-id-667234
‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামে না থাকলে জিয়া পাকিস্তানের পক্ষ নিতেন’