Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭: মো: রাসেল মিয়া: নরসিংদীতে চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে রাতের শেষভাগে হালকা ঠা-া অনুভূত হচ্ছে, যা শীতের আগমনী বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। আর শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষ গরম কাপড়সহ লেপ-তোশক কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের চাহিদা মেটাতে লেপ-তোশক তৈরি ব্যবসায়ীরা (লেপ-তোশকের কারিগর) ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নরসিংদী শহরের পাচদোনা মোড়স্থ গাফফার বেডিং ষ্টোরের মালিক আঃ গাফফার জানান, শীত এলেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ নতুন লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার দেন। তাদের চাহিদা পূরণ করতে বাড়তি লেপ-তোশক বানাতে হয়। এছাড়াও শীতের মৌসুমে বালিশ, জাজিম, বেডসিট, বেড কাভার ইত্যাদির চাহিদাও বেড়ে যায়। আমরা দীর্ঘ নয় বৎসর যাবত এসব তৈরী করে আসছি। বালিশ প্রতি পিস ৪ শত ৫০ টাকা থেকে ১ শত টাকা, জাজিম ৪ হাজার ৫ শত টাকা থেকে ২ হাজার ৫ শত টাকা, তোশক ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১২ শত টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। দোকানের পুজি ২০ হাজার টাকা থাকলেও আস্তে আস্তে বর্তমানে দোকানের অবস্থা অনেক ভালো। তিনি আরো বলেন, আমাদের দোকানে শীতের মৌসুমে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এ সময় তার দোকানে অস্থায়ীভাবে লোক নিয়োগ দেয়া হয় বলে জানা যায়। আবার কেউ কেউ চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। জানা যায়, লেপ-তোশক তৈরির মৌসুম শুরু হয় মূলত নভেম্বরের গোড়ার দিকে। আর তা চলে জানুয়ারি পর্যন্ত। এই তিন মাসে লেপ-তোশক ব্যবসায়ীরা দোকানে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দেন। তারাই ক্রেতাদের চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ করেন।
সূত্র জানায়, লেপ-তোশক তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে তুলা। এ তুলা তৈরি করা হয় পোশাক কারখানার ঝুট থেকে। তবে এসব তুলা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লেপ-তোশকের উপযোগী করে তোলা হয়। এজন্য কারখানায় অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া লেপের কাপড়সহ কভার তৈরি, তুলা ধুনার কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও যোগ দেন। তারা সকাল ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন। এ সময় তাদের খাওয়া, এমনকি বাড়ির খোঁজ রাখারও সময় থাকে না। তবে উচ্চবিত্তরা প্রাকৃতিক তুলা দিয়ে লেপ-তোশক বানাতে পছন্দ করেন। কারণ এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
শহরের গাফফার বেডিং ষ্টোর লেপ-তোশক ব্যবসায়ী আঃ গাফফার আরো জানান, বছরের এই তিন-সাড়ে তিন মাসের আয় দিয়ে তাদের সারা বছর চলতে হয়। তবে তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার লেপ-তোশক প্রতি গড়ে ২০০ টাকা বেড়েছে। তিনি আরো জানান, কারিগরের মজুরিসহ তুলা ও কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর বেশি দামে লেপ-তোশক বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। #