Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭,তারাগঞ্জ প্রতিনিধি আঃহাকিমঃ রংপুর জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ পাগলাপীর অফিস আওতাধীন তারাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে চলছে বিভিন্ন রকম অনিয়ম। বিগত দিন গুলোতে ছিল বর্ধিত বিল তথা বিভিন্ন মিটার রিডিং সংক্রান্ত জটিলতা। গত ছয় মাস ধরে চলছে অধিক বিলের ঝামেলা। কিছুতেই মিলছে না সমাধানের পথ। রোজকার অফিসিয়াল ভোগান্তিতে পরে আছে সাধারন গ্রাহক। উপস্থিত গ্রাহকের কাছে বিল জমা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন-অফিসের লোক বিল জমা নিতে অনেক সময় লাগায়।গ্রাহক হিসাবে সঠিক সেবা তারা পাচ্ছে না বলে জানান।
মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে চলছে দালালী ও দেওয়ানী তৎপরতা। গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে মিটার প্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে সংযোগ দেয়া হয়, অথচ অফিস সূত্রে মিটার প্রতি খরচ হয় ৭৫০ টাকা। এ ব্যাপরে সাব- জোনাল এ,জি এম কম কাজী  হাফিজুল ইসলাম বলেন জুন থেকে শুরু হয়েছে তারাগঞ্জ উপজেলায় শত
ভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করনের কাজ।প্রচারনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাইক দ্বারা প্রচার করে সাধারন গ্রাহক সেবা ও সুবিধার জন্য কথা থাকলেও, তা সঠিক ভাবে  প্রচার করা
হয়নি তবে দুই/একদিনের ভিতরে করা হবে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের পশ্চিম রহিমাপুর,খানসাহেব পাড়া, পঞ্চায়েত পাড়া, ফকির পাড়া,কাংলাচড়ার চারটি গ্রামে তিন শতাধিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগের কথা বলা হলে এ,জি এম কম -স্থানীয় কিছু নেতা দ্বারা প্রভাবিত বলে স্বীকার করেন এবং তিনি আরও বলেন স্থানীয় ও বাইরের দালালি বিষয় গুলোতে গুরুত্ব দেন অফিস ঠিক ভাবে চলতে বাধ্য। তবে অবৈধ এসব টাকার ভাগও পাচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর! এই মর্মে তথ্য জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয় কিছু জানেন না বলে কথা শেষ করেন। গ্রাহক ভাষ্য মতে, প্রতি সংযোগের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ধার্য করে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হলেও এখনো অনেক গ্রাহকই বিদ্যুৎ পায়নি এছাড়াও বিদ্যুৎ-এর উন্নয়নমুলক সব রকম কাজ হচ্ছে ভিন্ন কৌশলে। যেমন বিদ্যুৎ এর শতভাগ সংযোগ কাজে ব্যয় বরাদ্দ হচ্ছে সরকারী অর্থে অথচ বৈদ্যুতিক পিলারসহ অন্যন্য ব্যয় বাবদ অর্থ নেওয়া হচ্ছে সাধারন গ্রাহকের কাছ থেকে। এই অনিয়মের সাথে যোগ রয়েছেন স্থানীয়
ইলেক্ট্রিশিয়ান ও বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এমনও গ্রাহক আছে এক বছর, ছয় মাস ধরে ঘুরছেন কিন্তু সংযোগ পাননি। কেউ আবার ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ
সংযোগ পাচ্ছেন। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট এই সংবাদটি যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক সাধারন জনগনের দুর্ভোগ দুরীকরন ও সরকারি অর্থ বরাদ্দকে কুলষিত ও দুর্নীতি গ্রস্থ্য এর হাত থেকে বিদ্যুৎ সু-ব্যবস্থা রক্ষায় সহায়তার জন্য স্থানীয় সচেতন সুধী জনের একান্ত দাবী।।