বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমাবর স্পিকার ইউএনএফপিএ’র এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের পরিচালক মি. বিজর্ন এ্যান্ডারসন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা বলেন। স্পিকার ৬৩তম সিপিএ সম্মেলনের বিষয়ে ইউএনএফপি’র পরিচালককে অবহিত করেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ইউএনএফপিএ’র সাথে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু হ্রাসে যৌথভাবে কাজ করছে বলে অবিহিত করে তিনি বলেন,সংসদ সদস্যগণ তাদের নিজ নিজ এলাকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছেন। সংসদ সদস্যগণকে নিজ এলাকার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সংসদ উৎসাহিত করে বলেও তিনি পরিচালককে অবহিত করেন।
স্পিকার বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৭% এর বেশী ধরে নিয়মিতভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ইউএনএফপি মানবাধিকার ও স্বাস্থ্য ইস্যুতে আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ পার্লামেন্টের সাথে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন,ইউএনএফপিএ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিজর্ন এ্যান্ডারসন বলেন, বাংলাদেশ গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আর্থ সামাজিক ইস্যুতে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ইস্যুগুলোতে সোসাইটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন দ্রুত ও ফলপ্রসূ হবে। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কিছু প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে স্পীকারকে আবহিত করেন।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এবং কমিটি সভাপতি সুয়ে লাইনস সাক্ষাত করেন। সুয়ে লাইনস স্পিকারকে অষ্ট্রেলিয়ার সিনেট ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, অষ্ট্রেলিয়া কমনওয়েলথ সদস্য হলেও সিনেট দীর্ঘদিন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন এর বাইরে ছিল। ৬৩তম সিপিএ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা সিপিএ’র সদস্য হতে যাচ্ছে। অষ্ট্রেলিয়ার সিনেট ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান সিপিএ’র সদস্য হওয়ার খবরে স্পীকার সন্তোষ প্রকাশ করেন।