Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার,৬ নভেম্বর, ২০১৭: সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বছরে মাথা পিছু শতাধিক ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। তাদের মতে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত নয়। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক ডিম খেলে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ প্রাণঘাতী অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তবে বাংলাদেশে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার হার এখনও অর্ধেকে।

বাংলাদেশের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অপরিহার্য খাদ্য ডিম। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, পুষ্টি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বছরে জন প্রতি ১০৪টি করে ডিম খাওয়ার দরকার। অথচ বাংলাদেশর মানুষ খায় মাত্র ৫৫টি। উন্নত বিশ্বে এ হার ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি। সবচেয়ে বেশি ডিম খায় জাপানের মানুষ। এদিকে নয়টি অত্যাবশ্যকীয় এ্যামাইনো এসিডসহ মানুষের প্রতিদিনের যে পুষ্টি উপাদান দরকার তার সবই আছে ডিমে। এছাড়াও একটি ডিমে শক্তি, প্রোটিন, চর্বি, কোলেস্টল, কোলাইন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। আরও রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, থায়ামিন, আয়রন ও জিংক।

এ সম্পর্কে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিটামিন ডি এবং কোলাইন যে সমস্ত খাদ্যে পাওয়া যায় তার তালিকা একেবারেই ছোট। তার মধ্যে ডিম একটি অন্যতম উৎস। ভিটামিন ডি শরীরে হার ক্ষরন রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কোলাইন শিশু ব্রেইন বিকাশে সহায়তা করে।’

এদিকে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত ডিম নিয়ে যে নেতিবাচক ধারণা তা সঠিক নয় বলে দাবি খামারিদের। কারণ আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক ডিম উৎপাদনে নজর দিচ্ছে তারা।

এ সম্পর্কে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প কেন্দ্রীয় পরিষদের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে ডিম উৎপাদনের জন্য সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে খামারিদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তুলনামুলকভাবে ডিম উৎপাদন বেশি হবে আশা করা যায়।’

এদিকে বর্তমান বিশ্বে ডিমের উৎপাদন প্রায় ৮’শ ২১ কোটি। ২০২১ সালে তা ১৪’শ ৮০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য উদ্যোক্তাদের।

সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর