খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭: মৈত্রী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪০মিনিটে কলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১২টা নাগদ ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ খুলনা স্টেশনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশী) অসিম কুমার তালুকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অসিম কুমার জানান, ট্রেনটিতে যাত্রী বহন শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে। বৃহস্পতিবার থেকেই খুলনা স্টেশনের নতুন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। টিকিট কিনতে যাত্রীদের ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বন্ধন এক্সপ্রেসে ১০টি কোচ থাকবে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার থাকবে ২টি। বাকি ৮টি কোচে ৪৫৬টি আসনের ব্যবস্থা আছে। এর মধ্যে এসি সিট (কেবিন) ১৪৪টি এবং ৩১২টি এসি চেয়ার। ১৭৫ কিলোমিটার রেলপথের যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার ও ১৫ ডলার। এসি সিট (১৫ ডলার) ১ হাজার ৩১১ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট ১৮৯ টাকা এবং ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকাসহ মোট ভাড়া ২ হাজার টাকা। আর এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ধরা হয়েছে (১০ ডলার) ৮৭৪ টাকা। সঙ্গে যোগ হবে ভ্যাট ১২৬ টাকা ও ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা। সর্বমোট ১ হাজার ৫০০ টাকা।
‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ বেনাপোলে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস পার হয়ে খুলনায় এসে পৌঁছাবে দুপুর ১২টায়। এরপর ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বিরতির পর খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে বন্ধন কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে ৬টা ১০ মিনিটে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দেওয়া সিডিউল অনুযায়ী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচলে ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগবে। তবে বেনাপোল রেল স্টেশনের কাস্টমস-ইমিগ্রেশনে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে যাতায়াতে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বন্ধন যাত্রীদের।
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর জন্য নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। খুলনা রেল স্টেশনে বন্ধন যাত্রীদের জন্য পৃথক কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান কাউন্টারের পাশেই ১ নম্বর কাউন্টার থেকে যাত্রীরা ১৬ নভেম্বর যাত্রার টিকিট কিনতে পারবেন।