Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭: যন্ত্রপাতি সংকটে ভুগছে চট্টগ্রাম বন্দর। ব্যাহত হচ্ছে পণ্য ওঠা-নামা শিবল্যান্ড কার্গো হ্যান্ডলিংসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম। আর এই সংকটে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। ৫ বছর আগে ১২০০ কোটি টাকায় যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ আজও আলোর মুখ দেখেনি। জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমান অবস্থার বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরে কি গেন্টিক ক্রেনের প্রয়োজন ২৬টি। যার মধ্যে আছে মাত্র ৪টি এবং গত ইদের আগেই বিকল হয়ে যায় ২টি। এরপর থেকেই প্রায় লেগে আছে কনটেইনার ও জাহাজজট।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১২ সালে নিউমোনির কনটেইনার টার্মিনালের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকায় ৬ ধরনের ৬১টি যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় তৈরি হয়েছে এই সংকট।

বিজিএমইএ’র সাবেক প্রধান সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, কেন গত ১০ বছর ধরে যন্ত্রগুলো ইনস্টল করা গেল না এবং ভাড়ায় যন্ত্রগুলো আনা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর বলেন, বন্দরের ইকুইপমেন্ট যন্ত্রপাতি দ্বিগুণের বেশি থাকা উচিত। যন্ত্র চালালে নষ্ট হবেই তাই এর জন্য বিকল্প প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন যন্ত্রপাতি কেনা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তার আগে প্রয়োজনে ভাড়ায় যন্ত্রপাতি এনে কাজে গতি আনার পরামর্শ বন্দর ব্যবহারকারীদের।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, আইনি কাঠামো অনুযায়ী, ভাড়ায় যন্ত্রপাতি আনা সম্ভব নয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, যার কাছে ভাড়া চাইব সে ১০ বছরের গ্যারান্টি চাইবে, সেটি আমাদের জন্য ক্ষতির পর্যায় হবে। বরং আমরা যদি ক্রয় করে ফেলি তাহলে এটা বেশি সুবিধাজনক এবং আমরা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৪৫কোটি টাকায় ৬টি রেলমাউনটেন কি গেন্টিক ক্রেন কিনতে যাচ্ছে, তা পাওয়া যাবে দেড় বছর পর। সূত্র: যমুনা টিভি