খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭: কম সময় ও খরচে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে জনপ্রিয় সেবার নাম ‘পাঠাও’। ভাড়াভিত্তিক মোটরসাইকেল সার্ভিসের রাইডার আর ব্যবহারকারী হিসেবে কাজ করছেন ছেলেমেয়ে উভয়ই। পড়াশোনার পাশাপাশি করছেন আয় রোজগার। তবে আয়ের ২০ শতাংশ কেটে নেয়ায় অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন এই পেশায়। সূত্র- ডিবিসি নিউজ
‘পাঠাও সার্ভিস’ নামের এই সেবাটি পাঠাওয়ের নিজস্ব অ্যাপসের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহার করে রাইডের জন্য রিকুয়েস্ট পাঠানো যায়। যানজট ভোগান্তিকে পাশ কাটিয়ে পৌঁছানো যায় গন্তব্যে।
এমনই এক উদ্দ্যোমী তরুণ রোকনুজ্জামান। পড়াশোনা শেষ করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের বাইরে যাওয়ার। পাশাপাশি রাইডার হিসেবে পাঠাও সার্ভিস দিচ্ছেন তিনি।
ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রোকনুজ্জামান বলছেন, এই পেশাকে সম্মানের চোখে দেখার মানসিকতায় এখনো ঘাটতি আছে। আমরা যখন দেশের বাইরে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করি সেটাকে আমরা ভালো চোখে দেখি। কিন্তু সেই কাজটা যদি বাংলাদেশে করা হয় তাহলে খারাপ চোখে দেখা হয়।
রোকনের মতো এমন অনেকেই পড়াশোনার খরচ জোগাতে হয়ে উঠছেন পাঠাও নির্ভর। দিনে আয় করছেন ২ হাজার টাকার বেশি। তবে আয়ের ২০ শতাংশ কেটে নেয়ায় অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন এই পেশায়।
ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টাই যদি ১০ শতাংশ পাঠাও নেয় তবে আমাদের জন্য তা সবচেয়ে ভালো হতো।
রাইডিংকে পেশা হিসেবে নিতে মেয়েরাও অনেক এগিয়ে। পাঠাও এর একমাত্র মেয়ে রাইডার হিসেবে আছেন রাবেয়া বশরী। পড়ছেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে। তিনি বলছেন, পেশা বাছাইয়ে ছেলে আর মেয়ে কী?
ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রাবেয়া বশরী বলেন, আমাকে দিয়ে প্রমাণ করে যাচ্ছি মেয়েদের দিয়ে সবকিছুই সম্ভব।
অ্যাপসভিত্তিক যাত্রীর সেবা হিসেবে পাঠাওকে বৈধতা দিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ব্যবহারকারী ও চালকের বিভিন্ন কার্য নির্দেশনা রয়েছে। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এই সেবা পেতে ব্যবহারকারী ও কর্তৃপক্ষ উভয়কে বাড়তি সচেতন হওয়ার পরামর্শ সবার।