Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭: সংবিধান সংশোধন করে নিজ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান সংশোধন নয় বিএনপিকে দাবি থেকে সরে বিদ্যমান নিয়মেই নির্বাচনে আসতে হবে। আর পরস্পর বিরোধী দুই পরাশক্তির অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত জাতীয় পার্টি। সংঘাতের আশংকা নির্বাচন বিশ্লেষকদের। সূত্র: নিউজ টুয়েন্টি ফোর

উত্তর দক্ষিণের মতোই বিপরিতমুখী দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক পরাশক্তি। নির্বাচনের মাত্র একবছর আগেও সব বিষয়ে দ্বিমত তাদের। এই বাস্তবতার দাবি আদায়ে সামনের দিনগুলোতে কোন পথ বেছে নিবে বিএনপি?

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সংবিধান তো আওয়ামী লীগ সংশোধন করেছে তাই এর দায়িত্বই তাদের। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করব। সেই চাপ সৃষ্টি করে আন্দোলনকে সফল করার মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া।

আওয়ামী লীগ মনে করেন, বিএনপির চাপ দেয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতাই নেই। দল বাঁচাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই তাদের।

সরকার দলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, সংবিধান সংশোধন করার কোনো সুযোগ আমাদের নেই এবং নিরপেক্ষ সরকার বলতে যেটা বুঝায় তারও কোনো সুযোগ নেই। তাই, বিএনপিকে আসতে হবে নির্বাচনে দল বাঁচানোর জন্য।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, বিএনপি যদি তাদের কথায় অনঢ় থাকে তাহলে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। সেই ক্ষেত্রে দেশ যাবে অনিশ্চয়তার দিকে।

বিশ্লেষকরা বলেন, নির্বাচন কমিশনকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সেরকম নির্বাচন করতে না পারে তাহলে আমরা নির্বাচন করব না। কিংবা তারা যদি সেই নির্বাচন করতে না পারে তাদের সরে দাঁড়নো উচিত। নির্বাচন কমিশনের দলটাই নির্বাচন কমিশনই করবে। -আমাদের সময়.কম