খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭: ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা আর আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীন বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চ-সহ ইতিহাসের প্রতিটি বাকে তিনি আছেন।
সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
বুধবার নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র সম্পাদকমন্ডরীর জরুরী সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আরো বলা হয়, তার প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও তার আদর্শ ব্যবহারকারী রাজনৈতিক দলগুলো কেউ তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারেন নাই। বরং শাসকগোষ্টির অবহেলা আর অনাদরের কারণে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী সাম্রাজ্যবাদী আর আধিপত্যবাদী শক্তির দোষররা।
সভায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ১৭ নভেম্বর ঢাকায় তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভা, টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাজার জিয়ারত কর্মসুচী সফলের জন্য দলের সকলস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব খাজা, মো. শহীদুননবী ডাবলু, মো. কামাল ভুইয়া, রাসেদউদ্দিন ফয়সাল, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, আনছার রহমান শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট এস.এম আবদুস সাত্তার, মো. ওয়াজিউল্লাহ অজু, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপিকা শিউলী সুলতানা প্রমুখ।