খােলা বাজার২৪। শুক্রবার , ২৪ নভেম্বর, ২০১৭: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বা এতিমের টাকা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ট্রাস্ট মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ১৮তম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মানুষ শান্তি চায়, উন্নতি চায়। আজ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। তাই যারা এতিমের টাকা চুরি করে খায়, দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, অন্তত জনগণ তাদের ভোট দেবে না, দিতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের বিবেক আছে তারা অন্তত ওদের (বিএনপি-জামায়াত) কোনো দিন ভোট দেবে না, ভোট দিতে পারে না। তাদের ভোট দিয়ে আর অশান্তি টেনে আনবে না। এই আপদকে ফিরিয়ে আনবে না। তাই ওদের স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই, বড় বড় কথা বলেও লাভ নেই।
তিনি আরও বলেন, যারা জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, যারা জনগণের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করে, যাদের দুর্নীতিতে আগাগোড়া মোড়া, তাদের জনগণ কেন ভোট দেবে?
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৬ষ্ঠ দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করিনি।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নূর আহমেদ আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
কিন্তু মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।