Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শুক্রবার , ২৪ নভেম্বর, ২০১৭: এবার গরু নয় চোরাই পথে ভারত থেকে আসছে মাংস। এসব মাংসে থাকতে পারে অ্যানথ্রাক্সসহ নানা প্রাণঘাতী জিবাণু। এছাড়া মাংস তাজা রাখাতে মেশানো হচ্ছে নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক। যার মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার ও কিডনি বিকলের মত জটিল রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ইন্ডিপেন্ডডেন্ট টিভি

যশোরের বিভিন্ন এলাকাসহ সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে আসে গরুর মাংস। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সীমান্ত এলাকার অসংখ্য মানুষ জড়িয়ে পড়েছে মাংস চোরাচালানী। গত ২০ দিনে যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৮’শ থেকে ৯’শ টন মাংস এসেছে। অবাধে মাংস আসায় যশোরে গরুর মাংসের দাম কেজিতে কমে গেছে ১’শ থেকে দেড়শ টাকা।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছে, ভারত থেকে বস্তায় ভরে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাংস আসছে প্রতিদিন। একটি চক্র আছে যারা মাইকিং করে মাংসের দাম কেজিতে ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকা ঘোষণা করাতে এখন মাংসের মান কেউ দেখছে না।

চোরাই পথে গরুর মাংস আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।

যশোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, বেশি পরিমাণে যদি গরুর মাংস আসে তাহলে স্বভাবতই গরুর মাংসের দাম কমে যাবে। এতে বাংলাদেশের মানুষ মাংস উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে।

যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টহলের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে সক্ষম হয়েছি। মাংস পেলে আমরা মাটির নিচে পুঁতে ফেলছি।

যশোর সদর হাসপাতাল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, অসুস্থ গরুর মাংস যদি বাংলাদেশে পাঠানো হয় এবং মানুষ তা খায়, তাহলে সাথে সাথে পাতলা পায়খানা ও বমি সহ জটিল অসুখ হবে।