খােলা বাজার২৪। রবিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০১৭: ইন্দোনেশিয়ার নারী পুলিশ নিয়োগে ন্যাক্কারজনক সতিত্ব পরীক্ষা বন্ধের আহব্বান জানিয়েছেন দেশটির আন্দোলনকারীরা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (ডবিøউএইচও) হু বলছে, ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী ও পুলিশে মহিলাদের এই অপমানজনক কুমারীত্ব পরীক্ষার কোন বৈজ্ঞানিক বৈধতা নেই।
দেশটির হিউম্যান রাইট’স ওয়াসের মতে, ইন্দোনেশিয়ার উর্ধ্বতন পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী এখনও তাদের এই নিষ্ঠুর এবং বৈষম্যমূলক পরীক্ষা নারী প্রার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যেটা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং নৈতিকতার পরিক্ষার একটি অংশ বলে তারা দাবি করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকার বিষয়ক এ্যডভোকেসি ডিরেক্টর নিশা ভেরিয়া বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক কুমারীত্ব পরীক্ষার বিষয়টি রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের সদিচ্ছার অভাবে হচ্ছে। তারা চাইলে এই বিভৎস আইনটি বন্ধ করা সম্ভব।
পরীক্ষার নামে এই অমানবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো জোকোই উইদোদোর আদেশে জাতীয় পুলিশ প্রধান ও সামরিক কমান্ডারসহ সতীত্ব পরীক্ষার পরিচলানাকারী গ্রæপকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এই পরীক্ষাটি সাধারণত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে আবেদনকারীর কুমারীত্ব অক্ষত কিনা সেটা যাচাই করা হয়। এ বিষয়ে ২০১৪ সালে (ডবিøইএইচও) হু কর্তৃক বলা হয়, এটার মাধ্যমে নারীদেরকে এক ধরণের যৌন হয়রানী করা হয়, যার কোন ক্লিনিকাল বা বৈজ্ঞানিক ভিক্তি নেই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।