
হরতালের সমর্থনে আয়োজিত প্রচারাভিযানের শুরুতে আজ ২৬ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক কমরেড সাইফুল হক ও সিপিবির সহকারি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের ভুলনীতি, দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট, ব্যাক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার জন্য দফায় দফায় বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এমনিতেই চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ফলে তরল জ্বালানি দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। সরকার কথায় কথায় বলে, আমরা দাম বাড়াই না, মুল্য সমন্বয় করি মাত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারের তেলের দামের সাথে সমন্বয় করতে দেখা গেল না। অথচ জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমার সাথে সমন্বয় করলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব।
সরকারের গণবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ৩০ নভেম্বরের হরতাল সফল করতে রাজপথে নেমে আসার জন্য নেতৃবৃন্দ জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে হরতালের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়। গুলিস্তান, নবাবপুর হয়ে প্রচারাভিযানটি পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।
এদিকে আজ সকালে হরতালের সমর্থনে কমলাপুর রেল স্টেশন, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, দিলকুশা, পুরানা পল্টনে প্রচারাভিযান বের হয়।
হরতালের সমর্থনে আগামীকালের কেন্দ্রীয় প্রচারাভিযান
হরতালের সমর্থনে আগামীকাল ২৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় রমনা পার্ক, সকাল ১০টায় জজ কোর্ট ও হাই কোর্ট, বিকেল ৪টায় ধানমন্ডি লেক, শাহবাগ-কাটাবন-সাইন্সল্যাব-নিউ মার্কেট-আজিমপুর, ফার্মগেইট, সদরঘাট, বাহাদুর শাহ পার্কে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচারাভিযান চলবে।