খােলা বাজার২৪। সোমবার , ২৭ নভেম্বর, ২০১৭: রাজধানীর লালবাগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে শেখ হাসিনার কঠোর বার্তা দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে সতর্ক করে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেত্রী সব জানেন। তোমার ব্যাপারে নেত্রীর কাছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ গেছে। তুমি মোস্তফা মহসীন মন্টু গ্রুপের লোকজনকে গুরুত্ব দিচ্ছ, বিভিন্ন পদে বসাচ্ছ, নেত্রীর কাছে এমন অভিযোগ আছে।
রোববার দুপুরে ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মুরাদকে ডেকে নেন। মুরাদ এ সময় লালবাগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকে অবহিত করলে জবাবে তিনি মুরাদকে সতর্ক করেন।
এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘মান্নাফির মতো মহানগরের সিনিয়র একজন নেতাকে লাঞ্ছিত করে সেদিন কেন মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল? নেত্রী কিন্তু সব জানেন। তোমারও বুঝতে হবে, ওনার ছেলে (মান্নাফি) নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। নেত্রী সবার ব্যাপারে অবগত আছেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন, সরকারবিরোধীরা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে, নেত্রী কোনোভাবেই মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যক্তিকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব-কোন্দল বরদাশত করবে না, এটা আমাকে বলে দিয়েছেন। তাই দ্রুত মহানগরের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসে নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং নিরসন করে ফেল।
এছাড়া আজ শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতে যাতে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনাও দেন কাদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকে স্নায়ুযুদ্ধে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এবং মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
তবে বিষয়টি এতদিন নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত ১৬ নভেম্বর আজিমপুরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সেদিন শাহে আলম মুরাদের সভাস্থলের সামনে আবর্জনার স্তূপ, খোকন ও মুরাদের বহিষ্কারের দাবিতে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গাড়ি ভাংচুর, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে।