Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার , ২৭ নভেম্বর, ২০১৭: সারাদেশে এস আলম গ্রুপের কোথায় কোন সম্পদ আছে এবং তাদের অর্থের উৎস কী, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল রোববার সচিবালয়ে জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী জানান, তার ধারণা ঋণের টাকায় একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার কিনছে এস আলম গ্রুপ।

এক সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তারা অনেক ব্যাংক দখল করে নিচ্ছে। এরপর আরেক সাংবাদিক জানতে চান, অর্থমন্ত্রী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি-না। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খবর-টবর নিচ্ছি, এরপর দেখা যাক কী করা যায়।’

গত জানুয়ারিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পর সম্প্রতি এসআইবিএলের পর্ষদে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। সব মিলিয়ে সাতটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ গ্রুপের কর্তৃত্ব রয়েছে। সংশ্নিষ্টরা জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক বা অন্য ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ বা তার স্বার্থসংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঋণের টাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার কেনা হয়েছে। যেমন ইসলামী ব্যাংকে গ্রুপটির নামে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে। এই ব্যাংকে তার শেয়ার রয়েছে ২০ শতাংশের মতো।

বাজেটের সম্ভাব্য আকার চার লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা : নির্বাচন সামনে রেখে এবার আগেভাগে বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে চার লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। নিবার্চনের আগে এটি হবে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। ফলে বাজেটটি হবে একেবারেই সাদামাটা। এতে নতুন কিছু থাকবে না। আগের ধারাবাহিকতা ও চলমান সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রাক্কলন করা হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ- এ তথ্য উল্লেখ করে মুহিত আরও বলেন, এটি একেবারেই প্রাথমিক হিসাব। ফেব্রুয়ারি মাসে আবার বসা হবে। তখন নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেট চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। মুহিত জানান, এটি সংশোধন করে নির্ধারণ করা হবে তিন লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বাজেট কি নির্বাচনী বাজেট হবে- এ প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, ‘না’। নির্বাচনী বাজেট বলতে কিছু নেই। আগামী বাজেট হবে এ সরকারের সর্বশেষ বাজেট। তাই এটি দায়সারা গোছের হবে না। এ সময় অর্থমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‘আশা করছি, আমরা আবার জয়ী হবো এবং ক্ষমতায় আসব।’ রোহিঙ্গাদের জন্য আগামী বাজেটে কিছু বরাদ্দ থাকবে বলে জানান মুহিত।