খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেএসসি পরীক্ষার ফল পাল্টে জিপিএ ফাইভ নিশ্চিত করার প্রচারণা চালাচ্ছে কয়েকটি চক্র। বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে তারা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। একই চক্র পরীক্ষা চালাকালে প্রশ্নফাঁস করেছে। তবে শিক্ষাবোর্ড ফল পাল্টানোর গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার ছয়টি বিষয়ের প্রশ্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিল কয়েকটি চক্র।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একই চক্র ফল পরবর্তন জিপিএ ফাইভ নিশ্চিত করার প্রচারণা চালাচ্ছে ফেসবুকে। এক্সাম হেল্পারসহ বেশ কয়েকটি পেজ থেকে এই প্রচারণা চলছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র ও নম্বরফর্দের ছবিও তুলে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনের জন্য বিকাশ নম্বরে টাকাও পাঠিয়েছে। প্রতি বিষয়ে জিপিএ ফাইভের জন্য তিন হাজার এবং গোল্ডেন জিপিএ ফাইভের জন্য ১২ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে।
শরীয়তপুরের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতারক চক্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে টাকা লেনদেনের কথা স্বীকার করেছে।
জেএসসির পরীক্ষার্থীরা বলেন,‘তাদের মতো অনেক বন্ধু জেএসসির প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। ফেসবুকে অনেকে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল, সে বিজ্ঞাপনে টাকা চাচ্ছে এবং তারা শতভাগ রেজাল্ট পরিবর্তন করে দিতে পারবে। তারা তিনটা পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রথমত ডকুমেন্ট দিতে হবে, দ্বিতীয়ত বিকাশ নাম্বার দিবে সেখানে অর্ধেক পেমেন্ট করতে হবে এবং তৃতীয়ত রেজাল্ট যদি পরিবর্তন হয় তাহলে বাকি টাকা পেমেন্ট করে দিতে হবে’।
এদিকে শিক্ষাবোর্ড জানায়,‘ফল পরিবর্তন অসম্ভব। প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’।
আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যারা শিক্ষার বিভিন্ন কাজে যুক্ত আছে তারা সর্তক আছে এবং যা করণীয় সেটা করছে’।
এমন সাইবার অপরাধ দমনে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষার ফল ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ হওয়ার কথা। প্রতারক চক্র থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান শিক্ষা বোর্ডে’।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি